অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০৬:৫৩ পিএম
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলকায় মাসজুড়ে বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, পহেলা নভেম্বর থেকে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে ৩০দিনের বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি পরিচালনা করা হবে। পুরো মাসজুড়ে নিরবিচ্ছিন্নভাবে মশা নিধনে কাজ করা হবে। তাই প্রত্যেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর, আঞ্চলিক নির্বহী কর্মকর্তা ও স্থাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা মাঠে থাকবেন। অসময়ে ঝড় বৃষ্টির ফলে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশার প্রজননক্ষেত্র খুঁজে বের করে তা ধ্বংস করতে হবে। এডিসসহ কিউলেক্স মশাও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। কোথাও পানি বা ময়লা জমতে দেয়া যাবে না। ময়লা বা পানি জমে থাকলে অথবা এডিসের লার্ভার উৎস পেলে কাউন্সিলরবৃন্দ ছবি তুলে লোকেশন উল্লেখ করে ডিএনসিসির অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রæপে শেয়ার করবে। ছবি ও লোকেশন দেখে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিবে। পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনের হল রুমে ২য় পরিষদের ১৭তম কর্পোরেশন সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় ডিএনসিসি এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুর ও অন্যন্য পোষা প্রাণীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য পশু হাসপাতাল এবং বৃক্ষের চিকিৎসার জন্য বৃক্ষ হাসপাতাল স্থাপনের ঘোষণা দেন তিনি।
মেয়র আতিক বলেন, নগরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় অসংখ্য হাট-বাজার গড়ে উঠেছে। এসব হাট-বাজারগুলোর অনুমোদন নেই। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বেসরকারি বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিচালিত বাজারগুলো ডিএনসিসি অধিগ্রহণ করে পরিচালনা করবে। সঠিক তদারকির মাধ্যমে এগুলো ব্যবস্থাপনা করা হবে। হাট-বাজারগুলোর তালিকা প্রনয়ণ করে সিটি কর্পোরেশনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
নগরের খালগুলো রক্ষায় নগরবাসীকে সহযোগিতার আহŸান জানিয়ে মেয়র বলেন, খালগুলো সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তরের পর থেকে আমরা সেগুলো উদ্ধারের কাজ করে যাচ্ছি। খালগুলো উদ্ধার করতে গিয়ে আমরা দেখেছি, বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও অন্যান্য ভবনের পয়ঃবর্জ্য নিষ্কাশনের সংযোগলাইন সরাসরি সারফেস ড্রেন ও খালে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে খালগুলো দূষিত হচ্ছে। খালগুলো পরিচ্ছন্ন রাখতে হলে প্রতিটি বাসা-বাড়িতে পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। পয়ঃবর্জ্যরে লাইন সারফেস ড্রেন অথবা খালে দেওয়া যাবে না।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেনের (ডিএনসিসি) সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মুহ. আমিরুল ইসলাম ও প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামসহ প্রমুখ।
এবি
