অক্টোবর ২৮, ২০২২, ১১:২০ এএম
মা ইলিশ সংরক্ষণ ও ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমকে কেন্দ্র করে মৎস্য আহরণে ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হচ্ছে আজ।
নিষেধাজ্ঞা শেষে উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর জেলেপাড়ায় শুরু হয়েছে কর্মচঞ্চলতা। ট্রলারে জাল ও অন্যান্য মালামাল তুলে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জেলেরা। ২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) রাত ১২টার পর থেকে সমুদ্রে যাত্রা করবেন তারা।
এদিকে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জেলেদের মাছ ধরার অভিযোগ থাকলেও শরণখোলার কোনো জেলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। এই উপজেলার সমুদ্রগামী ও স্থানীয় নদ-নদীতে মৎস্য আহরণকারী ১০ সহস্রাধিক জেলে সরকারি আইন যথাযথভাবে পালনের নজির স্থাপন করেছেন বলে মৎস্য বিভাগ প্রশংসা করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) শরণখোলার রাজৈর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ জেলেপল্লী ঘুরে দেখা যায়, ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলে ও মহাজনরা। ট্রলারে জাল, রসদসামগ্রী ও অন্যান্য মালামাল তুলছেন জেলেরা। মহাজন-আড়তদাররা ব্যস্ত তাদের হিসাব-নিকাশ নিয়ে।
মৎস্য আড়তদার কবির হাওলাদার জানান, এ বছর সাগরে তেমন ইলিশ পড়েনি। মৌসুমের ছয় মাসের তিন মাসই মাছ ধরা বন্ধ থাকে। তার ওপর দফায় দফায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ।
এ কারণে কোনো মহাজনই এবার লাভের মুখ দেখেননি। নিষেধাজ্ঞা পড়লেই ট্রলার ডকে ওঠাতে হয়। এতে একেকটি ট্রলার মেরামত করতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়।
সব মিলিয়ে একটি ট্রলার সাগরে পাঠানোর জন্য প্রত্যেক মহাজনকে আবার নতুন করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে হচ্ছে।
শরণখোলা ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় তিন শতাধিক সমুদ্রগামী ট্রলার রয়েছে। ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আমাদের একটি ট্রলারও মাছ ধরতে নামেনি। প্রতিবছরই আমরা সরকারি নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করে থাকি। ’
শরণখোলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, ‘মা ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। শুক্রবার রাত থেকেই আবার সাগরে ছুটবেন জেলেরা। শরণখোলার জেলে-মহাজনরা সরকারির নির্দেশনা যথাযথভাবে পালন করেছেন। মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। ’
উল্লেখ্য, ২০০৩-০৪ সাল থেকে বাংলাদেশে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।
টিএইচ