নভেম্বর ৩, ২০২২, ০৪:০৭ পিএম
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘চালকলে পাঁচ ধরনের পলিশ দেওয়া হয়। মোম পলিশ, স্যালাইন পলিশ, সিল্কি পলিশ এমন নামের। তাতে একদিকে পুষ্টি চলে যায়। অন্যদিকে চালের ঘাটতি হয়। পাশাপাশি বিদ্যুৎ, দামি দামি পলিশ মেশিনের খরচ, ম্যানপাওয়ার অন্যান্য মিলে কেজিপ্রতি ৩-৪ টাকা বাড়তি খরচ হয়। সেই খরচ ধরেই চকচকে পলিশ চালের দাম নির্ধারণ করে মিল মালিকরা। সেটা গুণতে হচ্ছে ভোক্তাকে।’
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘বাংলাদেশে পুষ্টি চালের বাণিজ্যিক যাত্রা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থিক সঙ্গতি বাড়লে চকচকে চাল খেতে হবে, এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ সরকার পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা থেকে শুরু করে আরও যে নীতিগুলো আছে তার সবগুলোতেই পুষ্টি নিশ্চিত করার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুষ্টিচাল যেন সাধারণ মানুষ বাজার থেকে ক্রয় করতে পারে সেজন্য পুষ্টিচাল উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য বেসরকারিভাবে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও চালকল মালিকদের উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের উদ্যোগ ও বিনিয়োগ ছাড়া পুষ্টিচাল ভোক্তা পর্যায়ে সহজলভ্য করা সম্ভব হবে না।’
এবি