নভেম্বর ১৭, ২০২২, ০৩:১৩ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হজপ্রত্যাশীরা যদি কোনোরকম হয়রানির শিকার হন, জড়িতদের কঠোর শাস্তি পাবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত ‘জাতীয় পর্যায়ে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সম্মেলন ২০২২’এবং ‘হজ ও ওমরাহ ফেয়ার’র উদ্বোধন করে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, হজযাত্রীদের সঙ্গে কোনো এজেন্সি প্রতারণা বা হয়রানি করলে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী দিনগুলোতেও আল্লাহর ঘরের মেহমানদের যারা হয়রানি করবে তাদেরকে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। বিষয়টি ‘মনে রাখতে’ আহ্বান জানান সরকার প্রধান।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ প্রণয়ন করেছি। ফলে হজ কার্যক্রমে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম ও অসদাচরণের অভিযোগের প্রতিকার হয়েছে। তাই আগামীতে যারা হজে যাবেন তাদের এ বিষয়ক নিয়মের পাশাপাশি সৌদিআরবের সব আইন সম্পর্কে জেনে নেওয়া ও মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
এ অনুষ্ঠানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ প্রধান। তিনি বলেন, দেশকে জঙ্গিবাদের হাত থেকে মুক্ত করে পবিত্র ইসলামের শান্তিময় মহিমাকে জাগ্রত রাখার জন্য জিরো টলারেন্স কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আলেম-ওলামাদের সম্পৃক্ত করে প্রত্যেক এলাকায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে; যাতে কারও ছেলে-মেয়ে জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ত না হয়।
ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই শান্তির ধর্ম পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম। অথচ এই ধর্মকে কিছু জঙ্গিবাদের কারণে অপমানজনক কথা শুনতে হচ্ছে। ইসলামের মর্মবাণীকে অন্তরে ধারণ করে সমাজ থেকে অন্ধকার, অশিক্ষা, বিভেদ, হানাহানি, সন্ত্রাস, কুসংস্কার ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করে এর অপব্যাখ্যাকারী শক্তিকে প্রতিরোধেরও আহ্বানও জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জাতির পিতা ইসলামের খেদমতের জন্য অনেক কাজ করে গিয়েছেন। আমরা তার উত্তরসূরি হিসেবে ইসলাম ও জনগণের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। জেলা-উপজেলা মিলিয়ে দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণ করেছি। ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও গবেষণা কেন্দ্র থাকবে। ইসলাম ধর্মের মূল কথা মানুষ যেন ভালোভাবে জানতে পারে।
মানবসম্পদ উন্নয়নে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে সম্পৃক্ত করে মসজিদের ইমামগণকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। কুরআনের শিক্ষা প্রচারের উদ্দেশ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে আমরা মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় লাখ লাখ শিশুকে কোরআন শিক্ষা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা।
এবি