ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ১২:১১ পিএম
বেশ কয়েকটি দেশে নতুন করে কোভিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে স্বাস্থ্য সতর্কতা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। একই সঙ্গে সব বন্দরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহেমদুল কবীর এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনার অন্য ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ ক্ষমতা চার গুণ বেশি জানিয়ে তিনি বলেন, করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএফ৭, বিএ ৫ এর একটি সাব ভ্যারিয়েন্ট। এটাকে বলা হয় আর ১৮, অর্থাৎ একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে।
তিনি বলেন, এটির আরেকটি ভয়ানক দিক হচ্ছে খুব কম সময়ের মধ্যে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে পারবে। এটার উপসর্গ সম্পর্কে যা জানা গেছে তা হলো অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের মতো।
এখনও এটার ভয়াবহতা সম্পর্কে জানা যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা না নেওয়া ব্যক্তির মধ্যে অনেক ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে। যাদের অন্যান্য রোগ আছে, অন্তঃসত্ত্বা তাদের মধ্যে এটি মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। এর মধ্যে ভারতেও এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। যারা ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ তাদেরকে আমরা আহ্বান জানাবো তারা যেন দ্বিতীয় বুস্টার অর্থাৎ চতুর্থ ডোজ নিয়ে নেন।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈঠকে কিছু সিদ্ধান্ত এসেছে। সেখানে আছে চতুর্থ ডোজ নিয়ে নিতে হবে সম্মুখ সারির ব্যক্তিদের। এর জন্য প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে হবে। যারা কোমরবিডিটির মধ্যে আছেন, তাদের অবশ্যই সুরক্ষা সামগ্রী যেমন মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবহার, নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
আমাদের বিভিন্ন পোর্টে এরই মধ্যে সিডিসি থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করে আইসোলেশনে নিতে হবে। যেসব দেশে আক্রান্ত সংখ্যা বেশি সেসব দেশ থেকে আগত যাত্রীদের পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে।
টিএইচ