ডিসেম্বর ২৬, ২০২২, ০৫:১৩ পিএম
ঢাকার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেলের ভাড়া ৩০ শতাংশ কমানোর পরামর্শ দিয়েছে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন গবেষণা এবং নীতিবিশ্লেষণী প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইপিডি)।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ভার্চুয়ালি আয়োজিত ‘রাজধানীর টেকসই পরিকল্পনায় মেট্রোরেল: প্রেক্ষিত ও করণীয়’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আইপিডির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান জানান, ঢাকায় প্রতিদিন সাড়ে তিন থেকে চার কোটি ট্রিপ তৈরি হয়। দ্রুতগতিতে ট্রিপ সম্পন্ন করার অংশ হিসেবে মেট্রো চালু করা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তবে মেট্রোরেলের ভাড়া যাতে সাধারণ মানুষের সামর্থ্যের মধ্যে থাকে, সে ব্যাপারে জোর দেন তিনি। কারণ, ভাড়া বেশি হলে প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী পাওয়া যাবে না।
এছাড়াও তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য অর্ধেক ভাড়া নির্ধারণ, পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভাড়া মওকুফ করার পরামর্শ দেন। একইসঙ্গে মেট্রোস্টেশনে বহু মাধ্যমভিত্তিক সমন্বিত যোগাযোগব্যবস্থা চালু করা এবং স্টেশনের আশপাশে পথচারীদের প্রাধান্য দিয়ে হাঁটার উপযোগী পরিবেশ তৈরি করার প্রতি জোর দেন।
অনুষ্ঠানে যোগাযোগবিশেষজ্ঞ ও মেট্রোরেল-সংশ্লিষ্ট ট্রানজিট ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (টিওডি) প্রকল্পের পরামর্শক আফসানা হক বলেন, ঢাকার ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ গণপরিবহন ব্যবহার করেন। গণপরিবহনের মধ্যে বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে আড়াই টাকার মতো, কিন্তু মেট্রোরেলের সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা। তাই স্বল্প দূরত্বে যারা যাতায়াত করবেন, তারা মেট্রো ব্যবহারে উৎসাহিত নাও হতে পারেন।
একটি শহরে তিন মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস করলে ওই শহরে মেট্রোরেল চালু করাকে উৎসাহিত করা হয় উল্লেখ করে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, এই বিবেচনায় ঢাকা শহরের জন্য মেট্রো একটি কার্যকরী ব্যবস্থা।
আইপিডির উপদেষ্টা অধ্যাপক আকতার মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, একটিমাত্র মেট্রোলাইন চালু করে ঢাকা শহরের যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হবে, তা আশা করা যাবে না।
মেট্রোরেল চালু হলে যত্রতত্র পোস্টার লাগানো বন্ধ করা, স্টেশন অপরিচ্ছন্ন না করা এবং যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা না ফেলার জন্য মেট্রোর ব্যবহারকারীদের অনুরোধ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আইপিডির পরিচালক আরিফুল ইসলাম, যোগাযোগ ও ভূমি ব্যবহারবিশেষজ্ঞ আসাদুজ্জামানসহ অনেকেই বক্তব্য দেন।