জানুয়ারি ১৪, ২০২৩, ১২:৫৩ পিএম
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন বা পৌষ সংক্রান্তি উৎসব আজ (শনিবার)। বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে পুরান ঢাকাবাসী আয়োজন করে এই উৎসবের। সাকরাইন উৎসবে ঘুড়ি ওড়ানোই মূল আকর্ষণ। দিনভর সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়ানো ও সন্ধ্যায় আতশবাজি, রঙ-বেরঙের ফানুস ওড়ানোর মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপন করা হয়।
সংস্কৃত শব্দ ‘সংক্রান্তি’ ঢাকাইয়া অপভ্রংশে সাকরাইন রূপ নিয়েছে। পৌষ মাসের শেষ দিনে এই সাকরাইন উৎসব আয়োজন করা হয়। তবে বাংলা ক্যালেন্ডার ও পঞ্জিকা তারিখের সঙ্গে কিছুটা পার্থক্যের কারণে প্রতি বছর দুই দিনব্যাপী এই উৎসবটি পালন করেন পুরান ঢাকার বাসিন্দারা।
এই উৎসবটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হলেও বহু বছর ধরে পুরান ঢাকায় সাড়ম্বরে পালিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। পৌষসংক্রান্তি উপলক্ষে এদিন পুরান ঢাকার বাড়িতে বাড়িতে সাকরাইন উৎসবে মেতে ওঠে সবাই। শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রতিযোগিতা।
পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজার, ধূপখোলা মাঠ, কলতা বাজার, তাঁতি বাজার, ধোলাইখাল,, নারিন্দা, ওয়ারী, গেন্ডারিয়াসহ বিভিন্ন জায়গা ঘুরে সাকরাইন উৎসবের শেষ দিনের প্রস্তুতির এসব চিত্র দেখা যায়।
পুরান ঢাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সাকরাইন আমাদের বাপ দাদাদের উৎসব। এই দিনে আমরা ছোট - বড় সকলে মিলে বাড়ির ছাদে ঘুড়ি উৎসব করি, রাতের বেলায় প্রতিটি বাড়ির ছাদে আতশবাজি, ফানুস উড়ানো, হরেকরকমের লাইটিং, ভালো খানাপিনারসহ গান বাজনার আয়োজন করা হয়। সবাই মিলে আমরা অনেক আনন্দ করি সাকরাইন উৎসবে।
শাঁখারি বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, সাকরাইন উপলক্ষে আমাদের প্রতিবারে ভালো বেচাকেনা হয়। তবে এবারের শুরুর দিকে একটু কম হলেও বাজার এখন জমে উঠেছে পুরোদমে। আমাদের কাছে ঘুড়ি, নাটাই সুতাসহ ঘর সাজানোর যাবতীয় সাজসজ্জা রয়েছে।
সাকরাইন উৎসবকে ঘুড়ি উৎসবও বলা হয়। এ উৎসবে অংশ নেন সব ধর্ম, পেশার বিভিন্ন বয়সের মানুষ।
টিএইচ