জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৬:২২ পিএম
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ব্যারিস্টার মোঃ সামীর সাত্তার বলেছেন, স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে বিনিয়োগে সম্পর্কোন্নয়ন করতে সরকারি ও বেসরকারিখাতের সমন্বয় একান্ত অপরিহার্য। দেশের জিডিপিতে বৈদেশিক বিনিয়োগের বর্তমান অবদান ০.৮% কে ৫%-এ উন্নীত করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জাতীয় কর্মকৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উপর জোরারোপ করেন ডিসিসিআই সভাপতি।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি বিডা চেয়ারম্যান লোকমান মিয়ার সাথে সাক্ষাৎ শেষ এসব কথা বলেন।
এছাড়াও তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিডার ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস (ওএসএস)’-এ উদ্যোক্তাদের সেবা নিশ্চিতকল্পে একটি জরিপ ও গবেষণা পরিচালনার প্রস্তাব করেন। ব্যারিস্টার সাত্তার সময়োপযোগী প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনী সংষ্কারের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, কন্ট্রাক এনফোরসমেন্ট সংক্রান্ত মামলা পরিচালনার জন্য পৃথক একটি ‘কমার্শিয়াল কোট’ গঠন করা প্রয়োজন। এছাড়াও তিনি আরবিট্রেশন আইনের সংষ্কার এবং ইনসলভেনসি আইনের আধুনিকায়নের উপর জোরারোপ করেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনের পরিবেশ আরো তরান্বিত হবে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তর সময়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিশেষকরে ইউরোপের বাজার পণ্য প্রবেশাধিকারের ক্ষেত্রে বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক সুযোগ-সুবিধা হারবে, এমতাবস্থায় তিনি সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে একটি ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন, যাতে করে বাংলাদেশে রেটিফাইড কনভেনশনসমূহ বাস্তবায়ন করা যায়। পাশাপাশি প্রস্তাবিত জাতীয় কমিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে উক্ত কনভেনশনগুলোকে কিভাবে যৌক্তিকভাবে বাস্তবায়ন করা যায়, সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করবে।
বিডা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, প্রতিবেশি সহ সকলের সাথে বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায়ে রাখতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি জানান, আগামী ৩ মাস নাগাদ ‘ওএসএস’কে সম্পূর্ণ কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষনে তিনি বলেন, আমাদের ব্যবসায়ী সমাজই সবচেয়ে বেশি ও কার্যকরি ভূমিকা পালন করে। তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশি^ক অর্থনীতি নাানমুখী প্রতিবন্ধকতা থাকলেও আমাদের অর্থনীতি এখন ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিপুল তরুণ জনগোষ্ঠী, উদ্যেমী ব্যবসায়ী সমাজ এবং ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের কারণে সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আরো বিকাশমান হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তিনি সরকারী কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতিার উপর জোরারোপ করেন।
এবি