জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৮:২৬ পিএম
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শূন্য পদের সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫ জন। এসব পদের বিপরীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারি দলের সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ এ সংক্রান্ত প্রশ্ন উত্থাপন করেন।
ফরহাদ হোসেন জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সবশেষ প্রকাশিত স্ট্যাটিসটিকস অব সিভিল অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফস-২০২১ বইয়ের (জুন, ২০২২ সালে প্রকাশিত) তথ্য অনুযায়ী সরকারের অধীনে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতর/পরিদফতর ও সরকারি কার্যালয় সমূহে বেসামরিক জনবলের মোট শূন্য পদ ৩ লাখ ৫৮ হাজার ১২৫টি। এর মধ্যে প্রথম শ্রেণির ৪৩ হাজার ৩৩৬টি, দ্বিতীয় শ্রেণির ৪০ হাজার ৫৬১, তৃতীয় শ্রেণির ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৪৮ এবং চতুর্থ শ্রেণি পদে শূন্য পদ ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮০টি।
এর মধ্যে ৪০তম বিসিএসে ১ হাজার ৯২৯ জন নিয়োগ করা হয়েছে। ৪২তম বিশেষ বিসিএসে (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে ৩ হাজার ৯৬৬টি সহকারী সার্জন নিয়োগে করা হয়েছে। ৪১তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা চলমান। ৪৩তম বিএসএসের লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়ন চলছে, ৪৪তম লিখিত পরীক্ষা গত ১১ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। আর আগামী মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪৫তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি টেস্টের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত আছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, দ্বিতীয় শ্রেণি ১০-১৩তম পদের নিয়োগ পিএসসির মাধ্যমে হয়ে থাকে। ১৪ থেকে ২০তম গ্রেনেডের নিয়োগ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধিদফতর/ সংস্থার নিয়োগ বিধি অনুযায়ী হয়ে থাকে।
এরমধ্যে আদালতে মামলা থাকায় নিয়োগবিধি প্রণয়ন কার্যক্রম শেষ না হওয়ায় এবং পদোন্নতি যোগ্য প্রার্থী না পাওয়ায় কিছু শূন্য পদ পূরণ করা যায় না বলেও জানান ফরহাদ হোসেন।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জানান, ৪০তম বিসিএসের নন-ক্যাডার পদে ৫ হাজার ৪৩৬টি শূন্য পদের চাহিদাপত্র পাওয়া গেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত সুপারিশযোগ্য শূন্য পদের সংখ্যা জানানো সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম শ্রেণির পদে নারীদের জন্য আলাদা কোটা না থাকলেও ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে নিয়োগে নারীদের জন্য ১৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ করা আছে।
নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ফরহাদ হোসেন বলেন, সরকারের অর্থ বিভাগের ২১ জুলাই ২০২২ তারিখের প্রজ্ঞাপনে পেট্রল ও লুব্রিকেন্ট (৩২৪৩১০২) খাতে চলতি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে মোট বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০% ব্যয় করার নির্দেশনা রয়েছে। তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে সরকারি গাড়ি ব্যবহার পূর্বের তুলনায় সীমিত করে ২০% সাশ্রয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সরকারি যানবাহন অধিদফতরের মাধ্যমে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের জ্বালানি সাশ্রয়ের বিষয়ে অর্থ বিভাগের নির্দেশনা প্রতিপালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
কেএস