জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পিঠা উৎসব বাঙালির আদি উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতি ও কৃষ্টির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পিঠা উৎসবের কৃষ্টিকে সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে পিঠা উৎসব আয়োজন করেছি। আগামীতে জেলা পর্যায়ে পিঠা উৎসব করার পরিকল্পনা রয়েছে। পরবর্তীতে আমরা উপজেলা পর্যায়েও পিঠা উৎসবকে ছড়িয়ে দিতে চাই।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে দশ দিনব্যাপী (১৯ থেকে ২৮ জানুয়ারি) `ষোড়শ জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪২৯` এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও ষোড়শ জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদ ১৪২৯ এর আহ্বায়ক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার উপদেষ্টা নৃত্যগুরু আমানুল হক।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসাবে আলোকপাত করেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ম. হামিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার শাহ আলম।
প্রধান অতিথি বলেন, পিঠা উৎসব ধর্ম, বর্ণ, দলমত নির্বিশেষে একটি অসাম্প্রদায়িক ও সর্বজনীন উৎসব। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎসব উদ্বোধন করার আগে স্টলসমূহে বেচা-কেনা শুরু করা শোভন নয়। প্রতিমন্ত্রী আগামীতে এ বিষয়ে সজাগ থাকার জন্য আয়োজকদের আহ্বান জানান।
প্রতিমন্ত্রী পরে জাতীয় পিঠা উৎসব ১৪২৯ এর বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, বেলুন উড়িয়ে ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে উৎসবের শুভ সূচনা করা হয়।
টিএইচ