Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল, ২০২৫,

যমুনার দুই পাড়ে বোরো রোপণে ব্যস্ত চরাঞ্চলের কৃষকরা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

জানুয়ারি ২৯, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম


যমুনার দুই পাড়ে বোরো রোপণে ব্যস্ত চরাঞ্চলের কৃষকরা

শুকনো মৌসুমে যমুনা চরাঞ্চলে ছোট-বড়-মাঝারি সহ অসংখ্য ডোবার হয়ে থাকে। আর সেই ডোবার চারপাশে এবং নদীর দুই পাড়ে এ বোরো ধান চাষ করেন যমুনা চরাঞ্চলের কৃষকরা। যমুনার পানি কমতে থাকায় নদীর দুই পাড়ে এবং ডোবা গুলোতে বোরোধান রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে এখানকার চরাঞ্চলের কৃষকেরা।

সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার অর্জুনা, গাবসার, গোবিন্দাসী ও নিকরাইল ইউনিয়নের যমুনা চরাঞ্চলে ছোট বড় অসংখ্য ডোবার সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই ডোবা গুলোর  চারপাশে বোরো ধান রোপণ করেছে কৃষকরা। যমুনা চরাঞ্চলের এখন সবুজের সমাহার। বাতাসে দোল খাচ্ছে বেরো ধানের সবুজ পাতা। এছাড়াও যমুনা পানি কমে যাওয়ায় এখনো নদীর দুই পাড়ে বোরোধান রোপণে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষকরা।

উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলের বোরো চাষি মফিজ উদ্দিন বলেন, আমি এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান লাগিয়েছি। নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন আবার নতুন করে নদীর কিনার দিয়ে ধান গাড়তে শুরু করেছি। পানি আসার আগে ধানগুলো কাটতে পারলে বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ মন ধান পাবো।

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বোরো চাষি আব্দুল হাই বলেন, যমুনার পানি শুকিয়ে গেলে প্রতি বছর নদীর দুই পাড়ে আমি বোরো ধান চাষ করি। এবছও প্রায় দুই বিঘা জমিতে ধান লাগিয়েছি। বোরো ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত প্রতি বিঘায় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। আর ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা থেকে ১৫-২০ মন ধান পাওয়া যায়।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত উপজেলার যমুনা চরাঞ্চলে ৬২৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং যমুনায় পানি আসার আগেই এসব ধান কাটতে পারলে বোরো চাষিরা লাভবান হতে পারবে। এখনো চরাঞ্চলের কিছু কিছু এলাকায় বেরো ধান রোপণ করছে কৃষকরা।

আরএস

Link copied!