নোয়াখালী প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৩:২১ পিএম
নোয়াখালী প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৩:২১ পিএম
নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার ছয়ানী টগবা গ্রামের প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রুনু আক্তার আপন ছোট বোন পলি আক্তারের স্বামী মুরাদ হোসেনের সাথে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ ১০ লক্ষ টাকা মূল্যের জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে সুবিচারের জন্য ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেনের ভাই আনোয়ার হোসেন চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলার চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
জানা যায়, চাটখিল উপজেলার নজরুল ইসলামের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সোনাইমুড়ী উপজেলার পিতাম্বর পুর। গ্রামের হারুনুর রশিদের মেয়ে রুনু আক্তারকে প্রায় ২১ বছর পূর্বে বিবাহ করে সংসার করে আসছে। তাদের সংসারে ইয়াসিন আরাফাতসহ ২ জন পুত্র সন্তান রয়েছে। জীবিকার তাগিদে দেলোয়ার হোসেন ২০০৪ সাল থেকে দুবাইতে অবস্থান করেন। দেলোয়ার হোসেন তার রোজগারের সকল অর্থ স্ত্রী রুনু আক্তারের নামে পাঠাতেন।
এছাড়াও রুনু আক্তারের খুশীর জন্য তার নামে শশুর এলাকার পিতাম্বর পুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে ২১ লক্ষ টাকা দিয়ে ৬ শতক জমি ক্রয় করেন প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন।
রুনু আক্তার স্বামীর দেয়া স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও স্বামীর দেয়া ৬ শতক জমিসহ ৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের সম্পদ ও আসবাবপত্র নিয়ে তার আপন ছোট বোন পলি আক্তারের স্বামী মুরাদ হোসেনের সাথে ১২ জানুয়ারি পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় দেলোয়ার-রুনু দম্পতির ১৯ বছরের প্রতিবন্ধী ছেলে ইয়াসিন আরাফাতকে ঘরে রেখে, আরেক ১৪ বছরের ছেলে সাথে নিয়ে যায় এবং ১৫ জানুয়ারি তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে অজ্ঞাতনামা স্থান থেকে তালাকনামা প্রেরণ করে। দেলোয়ার হোসেনের পরিবার রুনু আক্তারের মা রৌশন আরা বেগম সহ অনেক কে ফোন দিলেও কেউ কোন সঠিক তথ্য দিতে পারেনি। প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন সন্তান, অর্থ ও স্বর্ণালংকার এবং জমি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে দেলোয়ারের পরিবার সুবিচারের আসায় জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
কেএস