নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৩:১৩ পিএম
বাংলাদেশ রেলওয়ে যাত্রীদের বড় অভিযোগ ছিলো কালোবাজারিদের জন্য টিকেট পাওয়া যায় না। রেলের টিকিট পাওয়া যায় কালোবাজারি`দের কাছে। এজন্য একজনের টিকেট যেন অন্য যাত্রী ব্যবহার করতে না পারেন সেজন্য জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকেট কাটতে হবে।
এবং টিকেট বহনকারী যাত্রীর সাথে তার জাতীয় পরিচয়পত্র না মিললে বিনা টিকেটে যাতায়ত করছেন বলে অভিযুক্ত করে তাকে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।আগামী ১ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে।
বুধবার(১৫ ফেব্রুয়ারী) রাজধানীর ‘রেল ভবন’-এ রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
রেল মন্ত্রী সুজন বলেন, টিকেট কালোবাজারী ও বিনা টিকেটে ভ্রমণ বন্ধ করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে টিকেটিং ব্যবস্থার তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত করতে যাচ্ছে ১ মার্চ ২০১০ তারিখ হতে কার্যকর হবেও (১) জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে রেলওয়ের আন্ত:নগর ট্রেনের টিকেটিং ব্যবস্থা (২) POS (Point of Sales) মেশিনের প্রবর্তন (৩) অনলাইনের মাধ্যমে ক্রয়কৃত টিকেট অনলাইন রিফান্ডের ব্যবস্থা করা।
টিকেট কাটতে যে নিয়ম মানতে হবে:
১। ১২-১৮ বছর বয়সী যাত্রীগণ পিতা বা মাতার এনআইডি দিয়ে টিকেট কাটতে হবে।
২। বিদেশী নাগরিকগণ পাসপোর্ট নম্বর প্রদান ও পাসপোর্টের ছবি আপলোড করার মাধ্যমে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন।
৩। সফলভাবে এনআইডি/পাসপোর্ট/জন্মনিবন্ধন যাচাই পূর্বক নিবন্ধন ব্যতীত কোনো যাত্রী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট ক্রয় করতে পারবেন না।
৪। ভ্রমণকালে যাত্রীকে অবশ্যই নিজস্ব এনআইডি বা জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি অথবা পাসপোর্ট/ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড সাথে রাখতে হবে।
এরফলে পরিচয়পত্রের সাথে টিকেটের উপরে মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেট ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করা হবে। তারপর বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী টিটিই-গণ বিনা টিকেটের যাত্রীদের জরিমানা করতে পারবেন।
একইসাথে যাত্রীরা অনলাইনের মাধ্যমে টিকেট রিফান্ড করতে পারবেন ঘরে বসেই।
এক্ষেত্রে একজন যাত্রী রেল সেবা অ্যাপ বা রেলওয়ের টিকেটিং ওয়েব পোর্টালে ঢুকে নিজস্ব আইডি`তে টিকেট রিফান্ড অপশনে গিয়ে টিকেট সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রদান করতে হবে। পরবর্তীতে রেলওয়ের টিকেটিং সিস্টেম হতে তথ্যাদি যাচাই করে তথ্য সঠিক পাওয়া গেলে যাত্রীদের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট রিফান্ড করা হবে।
এআরএস
