ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৫:৪২ পিএম
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, দেশে যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (ন্যাপ) চিহ্নিত সকল কর্মসূচি ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। আর এতে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ টাকার প্রয়োজন হবে।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কনসালটেশন ওয়ার্কশপ অন ডিসেমিনেশন এন্ড ব্রেইনস্ট্রমিং অফ ন্যাপ ইমপ্লিমেন্টেশন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ন্যাপে বাংলাদেশকে ৮টি সেক্টরের আওতায় ১১টি অঞ্চলে ভাগ করে ১৪ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার লক্ষ্যে ১১৩টি অভিযোজনমূলক এ্যাকশন চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০টি উচ্চ অগ্রাধিকার এবং ২৩টি মাঝারি অগ্রাধিকারমূলক এ্যাকশন হিসেবে বিবেচিত হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, প্রফেসর এমেরিটাস ডক্টর আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী।
এতে ন্যাপ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ধরিত্রী কুমার এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী।
মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের মধ্যে অভিযোজনমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর আরও জোর দেয়া হবে। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সকলের সম্মিলিত চেষ্টার মাধ্যমে অভিযোজনমূলক কার্যক্রম গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়ন করা হবে।
এআরএস