ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ১০:৩৯ এএম
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ভিটামিন এ`র অভাবে শিশুদের ২৪ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়ে যায়।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার রাজধানীর মহাখালীতে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব প্রিভেনটিভ অ্যান্ড সোশাল মেডিসিন (নিমসম) অডিটোরিয়াম `জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০২৩` উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ১৯৭৪ সাল থেকে দেশে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর আয়োজন শুরু হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে। তখন দেশে রাতকানা রোগীর সংখ্যা ছিল চার শতাংশের বেশি। তখন অনেক ছেলে-মেয়েদের রাতকানা রোগী হিসেবে দেখা যেত। তখন অনেক শিশু পোলিওতেও আক্রান্ত হতো। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে রাতকানা রোগ নাই বললেই চলে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই শিশুরা ভালোভাবে বেড়ে উঠুক, দেশের সুনাগরিক হোক। সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সোনার মানুষ দরকার, সোনার শিশু দরকার। শিশুরা এ দেশের ভবিষ্যৎ, তারাই দেশকে পরিচালিত করবে। শিশুদের খাদ্য পুষ্টি এবং ভিটামিনের অভাব হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। যার মধ্যে একটি হচ্ছে রাতকানা রোগ। তাছাড়া দৈহিক এবং মানসিকভাবেও তারা বেড়ে উঠতে পারে না। তাদের লেখাপড়ায় মনোযোগও কম হয়।
তিনি আরও বলেন, ভিটামিন এ`র অভাবে শিশুদের ২৪ শতাংশ মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। পুষ্টির অভাবে শিশুরা খর্বাকৃতির হয়। আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশ শিশু খর্বাকৃতির ছিল, সেটা এখন অনেক কমে গেছে। ভিটামিন এ`র অভাবে শিশুদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। যার ফলে শিশুরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। যেমন হাম, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়। এতে শিশুদের মৃত্যু ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মায়েদের তাদের সন্তানদেরকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আহ্বান জানান।
এবি