নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০২:০২ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০২:০২ পিএম
স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ সর্বসাধারণের ভালোবাসায় সিক্ত হচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। সকাল ১০টা ৫ মিনিটে বারডেম হাসপাতালের হিমাগার থেকে ফ্রিজিং ভ্যানে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়।
গার্ড অব অনারের আয়োজন করেন ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষে অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেদায়েতুল ইসলাম ।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়ার পর সবার আগে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দুপুর ১২টা ২৬ মিনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ মরদেহ শহীদ মিনারের সামনে গার্ড অব অনারের জন্যে আনা হয়। পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর পুলিশের একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে।
দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ নেওয়া হবে সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। জুমার নামাজ শেষে সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বহুবছর ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। সম্প্রতি তার বার্ধক্যজনিত জটিলতাগুলো খারাপের দিকে যায়। এর মধ্যে সোমবার তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। গত মঙ্গলবার রাতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
১৯৭১ সালে জাফরুল্লাহ চৌধুরী যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ভারতের আগরতলায় গেরিলা প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর সেই হাসপাতালের নামেই একটি প্রতিষ্ঠান গড়তে চেয়েছিলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে আলোচনা করে নাম ঠিক করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
হাসপাতালের পাশাপাশি ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিও গড়েছেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ১৯৮২ সালে দেশে প্রথমবারের মতো ঔষধ নীতি প্রণয়নেও তার ভূমিকা ছিল।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। মা-বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।
এমএইচআর