মে ১৩, ২০২৩, ০১:৫১ পিএম
ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আকারে আগামী রোববার বাংলাদেশের কক্সবাজার ও অন্যান্য স্থানে আঘাত হানতে পারে। এ সময় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সকল বিদ্যুৎ গ্রাহকের অবগতির জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট হতে পারে। স্পষ্টতই দুর্যোগকালীন বিদ্যুৎ উৎপাদন, বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থা নানাভাবে ব্যাহত হয়। ইতোমধ্যেই ঘূর্ণিঝড় `মোখা’র প্রভাবে মহেশখালির দু`টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে ১২ মে রাত ১১টায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে শনিবার গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে। এ সময় চট্টগ্রাম, মেঘনাঘাট, হরিপুর এবং সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকবে। তবে পরবর্তীতে ঝড়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
এছাড়া বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার দরুনও প্রায়শ বিতরণ ও সঞ্চালন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটে। বৈদ্যুতিক লাইনে ডালপালাসহ গাছ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটে। এতে বৈদ্যুতিক লাইন ও পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘটে যান্ত্রিক ত্রুটি। সুতরাং, এরূপ বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে গাছ সরানোসহ যান্ত্রিক ক্রটি সারাতে কিছুটা সময় প্রয়োজন হয়।
এমতাবস্থায়ও বৈদ্যুতিক সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সকল কারিগরি কর্মীরা সদা তৎপর আছেন। তথাপি, এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাটজনিত অসুবিধা হলে গ্রাহকদের নিকট আমরা আগাম দুঃখপ্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ প্রাণঘাতী। তাই বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তারের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলার জন্য সকলকে বিশেষভাবে সতর্ক করা যাচ্ছে। ঝড় থেমে গেলেও আপনারা কোনোভাবেই ছেঁড়া তার সড়াবেন না। বিদ্যুৎ কর্মীরাই ছেঁড়া তারের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। পাশাপাশি আপনাদেরকে বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তার দেখা মাত্র নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলো।
এআরএস