Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় না সরকার: নসরুল হামিদ

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ২৯, ২০২৩, ০৭:২৭ পিএম


নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় না সরকার: নসরুল হামিদ

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়াতে চায় না বলে জানিয়েছেন। নির্বাচনের আগে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে না চাইলেও এ খাতে অতিরিক্ত করভার কমাতে এনবিআরকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। 

বাজেটে তার প্রতিফলন পাবার আশা করছে মন্ত্রণালয়। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কিছুদিন ধৈর্য ধরতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় একথা জানান তিনি।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, কয়লা, গ্যাস ও তেলের দাম নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, যে কয়লা পাওয়া যেত ৬০ ডলারে গত বছর তা বেড়ে ৪০০ ডলারে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় ৬০ ডলার বেড়ে গিয়েছিল। তেলের দাম হয়েছিল লাগামহীন। সেসময়েও ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এসে নানা পরিস্থিতি বিবেচনায় দাম সমন্বয় করতে হচ্ছে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, অনেকেই বলেন, চাইলেই ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সোলার থেকে পাওয়া সম্ভব। যারা এটা বলে তাদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের জন্য ৬ হাজার একর জমি দরকার। এক্ষেত্রে কৃষিজমি হলে চলবে না। লাগবে অনাবাদি জমি। সোলার নিয়ে সরকার কাজ করছে। ধীরে ধীরে সব হবে।

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা চাপের মধ্যে আছি এ কথা অস্বীকার করার কিছু নেই। আবার আমরা বসেও নেই। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। বিশ্বের যেসব দেশ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে তেল-গ্যাসের ব্যবসা করতে পেরেছে, তারা বাদে বাকি সবাই চাপের মধ্যে আছে বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশে গ্যাসের সম্ভাবনা নিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, ভোলায় গ্যাসের বড় রকমের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে চাইলেও গণহারে খনন করা যায় না। এটা একদিকে ব্যয়বহুল, অন্যদিকে আমাদের কিছু কারিগরি সীমাবদ্ধতাও আছে।

এফইআরবির নির্বাহী পরিচালক রিসান নাসরুল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন, সামিট পাওয়ারের ফয়সাল খান, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ইজাজ হোসেন, বিইআরসির সাবেক সদস্য মকবুল ই ইলহী প্রমুখ।

এইচআর

Link copied!