অক্টোবর ১৩, ২০২৩, ০৩:৪৮ পিএম
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘বাজারের সিন্ডিকেট যদি দেখতে পারতাম, ধরতে পারতাম, তাহলে ব্যবস্থা নিতে পারতাম।’
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী। মার্কেটার্স ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ মার্কেটিং ডে’র সূচনাপর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট ধরা যায় না, অধরা থেকে যায়। তবে তা সাময়িকভাবে বাজারের ভেতরেই থাকতে পারে। সিন্ডিকেট হয়, সিন্ডিকেট ভাঙে, আবার নতুন সিন্ডিকেট হয়।
বাংলাদেশের অর্থনীতিকে উদীয়মান উল্লেখ করে এম এ মান্নান বলেন, এ ধরনের অর্থনীতিতে কিছু বিকৃতি থাকবেই, লাভ বা মুনাফার সুযোগ নেবেই। এটা মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ন্ত্রণ বা নিয়ামক সংস্থাকে বিধিবিধান প্রয়োগ করতে হবে।
আইনে যা আছে, সেটাকে মাঠে নেমে প্রয়োগ করতে হবে। এখানে কিছু ঘাটতি মাঝেমধ্যে হয়ে যায়। কয়েকটা নিয়ামক সংস্থা আছে, একেবারে নতুন। তাদের তো দাঁত গজাতে হবে। তারা আস্তে আস্তে অভিজ্ঞ হচ্ছে, কাজ করছে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ করার শক্তি দুনিয়ায় কারোরই নেই। বাজার নিজেকেই নিজে নিয়ন্ত্রণ করে। তবে কিছু অনুষঙ্গ আছে—সরবরাহ, চাহিদা। এগুলো নিয়ে তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করা যায়। আসল প্রশ্ন হলো, একটা উদীয়মান অর্থনীতিতে সব সময় চাহিদা ও জোগানের মধ্যে অনেক পার্থক্য থাকে। স্থিতিশীল বুড়ো অর্থনীতিগুলোর বাজারে একটা ভারসাম্য আছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে এম এ মান্নান বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, প্রতিবেশী। তুলনা করে লাভ নেই। গত দুই বছর আগে অনেকেই বলেছিলেন যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে গেছে, শুধু বাঁশি বাজানো বাকি। সেটা হয়নি। আমরা চাই, শ্রীলঙ্কা ভালো করুক, আমরাও ভালো করতে পারব।
ফলে এ ধরনের তুলনা মানুষ অনেক সময় ভুলভাবে নেবে। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি আকারে আমাদের অর্থনীতির ১০ ভাগের এক ভাগও নয়। কিছু সূচকে শ্রীলঙ্কা আবার আমাদের চেয়ে এগিয়ে। শ্রীলঙ্কা যদি ঘুরে দাঁড়িয়ে থাকে, ভালো। আমি প্রশংসা করি। আমরাও ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, দাঁড়াব। ভয় বা সংকটের কোনো বিষয় নেই।’
এইচআর