অক্টোবর ১৩, ২০২৩, ০৭:৫৬ পিএম
বিশ্ব ডিম দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)তে আয়োজিত হয় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য নানা আয়োজন। বিএলআরআই-এর পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে এবং পোল্ট্রি গবেষণা ও উন্নয়ন জোরদারকরণ প্রকল্পের অর্থায়নে পালিত হয় বিশ্ব ডিম দিবস।
আজ শুক্রবার সকালে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় বর্ণাঢ্য র্যালি।
র্যালিতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ মহোদয়ের নেতৃত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল মহোদয়, ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়সহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণের সাথে বিএলআরআই-এর সর্বস্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
র্যালিটি বিএলআরআই-এর অভ্যন্তরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
র্যালি শেষে বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বকুল তলায় শিশুদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বিএলআরআই এর প্রধান ফটক হতে পথচারী ও দুঃস্থদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়।
বেলা ১১টার দিকে বিএলআরআই-এর চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষ্যে সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জনাব এটিএম মোস্তফা কামাল এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (বিসিএস লাইভস্টক একাডেমি) জনাব শাহজামান খান।
অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। আলোচনা সভায় মন্ত্রণালয়, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং বিএলআরআই-এর বিভিন্ন বিভাগের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তিলওয়াতের মধ্য দিয়ে সেমিনার ও আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএলআরআই এর পরিচালক (গবেষণা) ড. নাসরিন সুলতানা। তিনি তার বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানান এবং সম্মানিত সচিব উপস্থিত হয়ে সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন বলে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
আলোচনা সভায় বিশ্ব ডিম দিবসের তাৎপর্য ও গুরুত্ব, ডিম খাওয়ার গুরুত্ব ও উপকারিতা এবং বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্প ও ডিম উৎপাদনের অতীত ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে উপস্থাপনা করেন বিএলআরআই এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, প্রকল্প পরিচালক এবং পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টারের দপ্তর প্রধান ড. মোঃ সাজেদুল করিম সরকার।
উপস্থাপনার পরে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষজ্ঞ কর্তৃক আলোচনা।
আলোচনায় অংশ নেন পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ও বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং পোল্ট্রি বিশেষজ্ঞ ও বিএলআরআই এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. নাথু রাম সরকার। বক্তারা তাদের বক্তব্যে পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নকল্পে পোল্ট্রি রিসার্চ সেন্টার এবং পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পোল্ট্রি রিসার্চ ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। পাশাপাশি পোল্ট্রি ডেভেলপমেন্ট বোর্ড প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রণালয়ের সদয় দৃষ্টি আহ্বান করেন।
বিশেষজ্ঞগণের মতামত প্রদানের পরে আমন্ত্রিত অতিথিগণ বক্তব্য প্রদান করেন। বিশেষ অতিথিগণ, সভাপতির বক্তব্যের পাশাপাশি আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ধন্যবাদ জ্ঞাপনমূলক বক্তব্য প্রদান করেন বিএলআরআই এর পোল্ট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শাকিলা ফারুক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মানিত সচিব ড. নাহিদ রশীদ বলেন, ডিম একটি সুপার ফুড। আমরা অনেকেই জানি না ডিমের গুরুত্ব কতটা। এই ধরনের দিবসগুলোকে কেন্দ্র করে মানুষের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া যায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্ঞান, সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। আমি আরও অনুরোধ করবো, মেয়েরা/মায়েরা প্রতিদিন ডিম খাবেন। তাহলেই আমরা সুস্থ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পাবো। এছাড়াও ডিম ও পোল্ট্রির উন্নয়ন ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে গবেষণা ও অবকাঠামোগত সকল উন্নয়নে মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ আন্তরিকতার কথা ব্যক্ত করে এ বিষয়ে সকল প্রকার সহায়তা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
এছাড়াও বিকেলে সাভারের গেরুয়ায় অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে ডিম বিতরণ করা হয়।
এআরএস