Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

শহরকেন্দ্রিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে ফটোভয়েস

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৩০, ২০২৪, ০৮:১১ পিএম


যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার নিয়ে ফটোভয়েস

কানাডা সরকারের অর্থায়নে ও হেলথব্রিজ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আইপাস বাংলাদেশ এবং এর সহযোগী সংস্থার আয়োজনে শহরকেন্দ্রিক প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে এই ফটোভয়েস প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

অভিনব এবং অংশগ্রহণমূলক ফটোভয়েস পদ্ধতি ব্যবহার করে নানা সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা তুলে আনাই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য এই প্রদর্শনী উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের আরবান প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসেস ডেলিভারি প্রজেক্টের অতিরিক্ত সচিব ও পরিচালক এএফএম আলাউদ্দিন খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য (সার্ভিসেস) পরিচালক ডা. মো. মুনীরুজ্জামান সিদ্দীকী।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিসিএসডিপি) ডা. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, সিরাক বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত, হাইকমিশন অফ কানাডা ইন বাংলাদেশের হেড অফ কো-অপারেশন জো গুডিংস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইপাস বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. সাইদ রুবায়েত।

প্রদর্শনীতে প্রকল্পের সহযোগী সংস্থা সিরাক বাংলাদেশের তত্ত্বাবধানে ২৫ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবীর (প্রজনন স্বাস্থ্যবন্ধু) সংগৃহীত ২৬টি ছবির গল্পের মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার নিম্ন আর্থ-সামাজিক এলাকায় বসবাসকারী নারী ও কিশোর-কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার বিষয়ক সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর আলোকপাত করেন। প্রদর্শনীতে উপস্থাপিত ছবির গল্পগুলোতে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি, মাসিক নিয়মিতকরণ, গর্ভপাত পরবর্তী সেবা, প্রজননে জবরদস্তি, জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতা এবং নারী ও কিশোরীদের অধিকার ভঙ্গসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এসব বিষয়ে আরও বৃহত্তর পর্যায়ের আলোচনা এবং কমিউনিটির ঐক্যবদ্ধতা ও সচেতনতা সৃষ্টি করাই এই ফটোভয়েস প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য।

প্রদর্শনীর গ্যালারি ঘুরে এএফএম আলাউদ্দিন খান বলেন, ছবিগুলো নীরব কিন্তু কিছু না বলেও এই ছবিগুলো আমাদের অনেক বার্তা দেয়, যা সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে পার্থক্যগুলোকে তুলে ধরে। ছবি ও গল্পগুলোর মাধ্যমে আমাদের সামাজিক অবস্থান, শিক্ষার অবস্থা ও অসঙ্গতিগুলো উঠে এসেছে।

আরএস

Link copied!