Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪,

দীপু মনি

‘প্রতিবন্ধীদের ভূঁইফোঁড় স্কুলকে সমর্থন দেওয়া হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ০৩:১৭ পিএম


‘প্রতিবন্ধীদের ভূঁইফোঁড় স্কুলকে সমর্থন দেওয়া হবে না’
ছবি: আমার সংবাদ

প্রতিবন্ধীদের জন্য হুজুগে স্কুল খুললে হবে না। তাদের যথাযথ সুবিধা দিতে পারছি কিনা সেটা নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

বলেন, যাদের কোনোভাবে স্বাভাবিক বিদ্যালয়ে পড়ানো সম্ভব নয়। তাদের জন্য বিশেষ স্কুল তৈরি করতে হবে। তার সঠিক পড়াশোনা, স্বাভাবিক জীবন-যাপনের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার মানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের আপোস করবে না। এটা আমরা দেখবো। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা একযোগে কাজ করবো। ভূঁইফোঁড় স্কুলকে সমর্থন দেয়া হবে না। স্কুল বানালেই তাদের চাকরি হবে। এ নিয়তে কেউ স্কুল খুললে সেটা এমপিও হবে না।

বৃহস্পতিবার স্পেশাল অলিম্পিক ওয়ার্ল্ড গেমস বার্লিন-২০২৩ এর বিজয়ীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের মেয়েরা অনেক ভালো করছে। শুটিংয়ে আমরা ভালো করেছি। এছাড়া আরও কয়েকটি খেলায় আমরা ভালো করেছি। কিন্তু আমাদের এ সুবর্ণ (প্রতিবন্ধী) নাগরিকরা এতো এতো কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। যা অন্যরা কেউ পারেননি। দেশের ভিন্নভাবে সক্ষম নাগরিকরা স্বাভাবিক মানুষদের চাইতে ভালো করেছে। তাদের সক্ষমতাকে সম্মান দেখিয়ে সমাজে রাষ্ট্রে কাজে লাগাতে হবে।

জাতীয় পরিচয়পত্রে তাদের সুবর্ণ নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সমাজে এদেরকে পিছিয়ে রাখা হয়। পরিবারেও তাদের প্রতি বৈষম্য করা হয়। এসব কথা চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

প্রতিবন্ধীদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সাড়ে ৪শ কোটি টাকা ব্যয়ে তাদের প্রশিক্ষণের বিশেষ ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরি করছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা আজ অটিজম শব্দের সঙ্গে সবাই পরিচিত। ১৫ বছর আগে এই শব্দটির সঙ্গে আমাদের পরিচিতি ছিল না। প্রতিবন্ধীদের সমাজের বোঝা হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। বঙ্গবন্ধু নাতনি সায়মা ওয়াজেদের মাধ্যমে মানুষ জানে। অটিজমে আক্রান্ত মানুষদের প্রতি সহানুভূতি তৈরি হয়েছে। আমাদের অনেক স্কুল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত কিছু স্কুল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত নয়। সেগুলো স্বীকৃতির আয়োজন আমরা করবো।

অনুষ্ঠানের অতিথিরা বলেন, প্রতিবন্ধী কথাটা মুছে ফেলতে হবে। তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুবর্ণ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাই আমরাও সুবর্ণ মানুষ বলব। কাউকে পেছনে ফেলে নয়। আজ আমরা অনুভব করছি। ১৯৭২ সালে আমাদের জাতির পিতা সংবিধানে ১৫এর খ-এ উল্লেখ করেছেন। আজ ডিজেএবল শব্দ বলা হয়। আমরা এটাকে বলি ডিফারেন্টলি এবল। সেটার প্রমাণ আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি।

স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানের আব্দুস সামাদ ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুল আলম শেখ, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু সালেহ মুস্তফা কামাল প্রমুখ।

ইএইচ

Link copied!