নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৪, ০৪:৫১ পিএম
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, দেশে ১৩ লাখ ডিজেল পাম্পকে সোলার পাম্পে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। সরকারের ভর্তুকি কমাতে বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে।
সোমবার সচিবালয়ে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মহাপরিচালক তাকেও কনিশি বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সাক্ষাতে তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।
আলোচনায় এডিবির মহাপরিচালক এনার্জি ট্রাঞ্জিশনে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণ বাড়ানো, ইলেক্ট্রিক ভেহিক্যাল, জ্বালানি দক্ষতা ও সোলার ইরিগেশনে রোডম্যাপ বাস্তবায়নে অর্থায়ন, আঞ্চলিক আন্তঃসংযোগ ও প্রকল্পের রেডিনেস নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী এডিবির মহাপরিচালককে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের এডিবি সাহায্যপুষ্ট প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো উচিত। পাওয়ার মার্কেট তৈরি করতে এডিবি সাহায্য করতে পারে। যার মাধ্যমে প্রয়োজনমতো বিদ্যুৎ ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে। শীতকালে নেপাল বা ভুটানে বিদ্যুৎ রপ্তানি করা যেতে পারে। তাছাড়া ভবিষ্যতে আমাদের প্রায় ৯০০০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। জ্বালানির প্রকৃত মূল্য নির্ধারণ করার জন্য একজন ভালো পরামর্শক প্রয়োজন।
নসরুল হামিদ বলেন, প্রযুক্তির প্রসার ও কমন ডাটা সেন্টার নির্মাণে একযোগে কাজ করতে পারলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ খাতে ৭টি প্রকল্পে ২.৫৭ বিলিয়ন ডলার এডিবির অর্থায়ন রয়েছে। ২০২৩ সালে ৩৬০ মিলিয়ন ডলার মূল্যমানের ২টি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে এডিবির অর্থায়নে ৩টি প্রকল্প চলমান এবং ৫টি প্রকল্প প্রস্তাবিত আকারে রয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং উপস্থিত ছিলেন।
রাব্বানী/ইএইচ