নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে গ্রামীণ টেলিকম ভবনে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামীণ টেলিকম ভবন কে বা কারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মিরপুর গ্রামীণ টেলিকম ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এমন অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নিজের অফিসে ঢুকতে পারবো কি না- এটা এখন বাইরের লোকের এখতিয়ার হয়ে গেছে। আমি দুঃখ-কষ্টে পড়ে গেছি। ভয়ংকর পরিস্থিতিতে আছি। এ ভবনটা আমরা করেছি এটা আমাদের স্বপ্নের বাস্তবায়ন। হঠাৎ চারদিন আগে বাইরের লোক এসে জবরদখল শুরু করে আর আমরা বাইরের লোক হয়ে গেলাম।`
পুলিশের কাছে সহযোগিতা চেয়েছি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ঘুরে গিয়ে কোনো অসুবিধা দেখছেন না বলে জানান। জবরদখলের পর আমরা নিজের বাড়িতে ঢুকতে গেলে তারা আমাদের পরিচয় জিজ্ঞাসা করছে।’
গত ১২ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ভবনে অবস্থিত আটটি অফিস দখল করে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘তারা ভবনে তালা মেরে রেখেছে। নিজের বাড়িতে অন্য কেউ যদি তালা মারে, তখন কেমন লাগার কথা, আপনারাই বলেন। তাহলে দেশে আইন–আদালত আছে কিসের জন্য। তারা আদালতে যেতে চায় না। আমরা জীবনে বহু দুর্যোগ দেখেছি। এমন দুর্যোগ আর কখনো দেখিনি।’
ড. ইউনূস বলেন, ব্যবসার মুনাফার টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের টাকায় হয়নি। যা হয়েছে আইন মেনে হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যখন দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ হচ্ছে তখন এ অবস্থা। দেশবাসীকে বলবো, এভাবে দেশ কীভাবে চলে? আমাদের সব অফিসের প্রধান কার্যালয় এটি। দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য এখান থেকে কাজ করা হয়।‘
তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ কী হলো বাইরের কিছু লোক এসে তা জবরদখল করছে। আমরা কোথায় যাবো, কী করবো? পুলিশ আমাদের কথা শুনছে না।`
ঢাকার মিরপুর ১ নম্বরে চিড়িয়াখানা সড়কে গ্রামীণ টেলিকম ভবন। এ ভবনে ড. ইউনূসের ১৬ টি কোম্পানি রয়েছে। যার প্রতিটির চেয়ারম্যান তিনি।
গ্রামীণ কল্যাণের কর্মীরা জানান, আজ সকাল থেকে গ্রামীণ টেলিকম ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে কিছু লোক, সঙ্গে ঝাড়ু নিয়ে কিছু নারীও উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত কাউকে এমনকি ভবন পরিদর্শনে আসা কাউকেও ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না। এর আগে গত কয়েক দিন, ২০ জনের একটি দল এই ভবন দখলের চেষ্টা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে বুধবার মোবাইল ফোনে কল করে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মকর্তা পরিচয়ে বেশ কয়েকজন ধমক ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ করেন গ্রামীণ কল্যাণের ভারপ্রাপ্ত বিভাগ (হিসাব ও অর্থ) প্রধান মো. ইউসুফ রেজা খান। পরে সন্ধ্যায় এ বিষয়ে একটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করতে গেলে স্থানীয় শাহ আলী থানা সেটি গ্রহণ করেনি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
এআরএস/আরএস