Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৪,

ফেনীর ৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

এস এম ইউসুফ আলী, ফেনী

মার্চ ১, ২০২৪, ১২:৩৫ পিএম


ফেনীর ৬০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে
ছবি: আমার সংবাদ

ফেনীতে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে উৎপাদন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (০১ মার্চ) প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ প্রকল্পের উৎপাদিত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ইতোমধ্যে মীরসরাই বঙ্গবন্ধু ইকোনমিক জোনের গ্রিড উপকেন্দ্রের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাকি ১৫ মেগাওয়াটও জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এ ছাড়া এখানে আরো দুটি ১০০ মেগাওয়াটের সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প পরিকল্পনাধীন।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের অভ্যন্তরে অবকাঠামোগত অল্প কিছু কাজ ছাড়া মোট কাজের ৯০ শতাংশ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১০ শতাংশ কাজ শেষ হলে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়া ভূমিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি প্যানেলগুলোর নিচের অংশে ও কৃত্রিম খালে শাকসবজি উৎপাদন করা হবে যা কৃষিতে অবদান রাখবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

প্রসঙ্গত, জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরছান্দিয়া ও চরদরবেশ ইউনিয়নের পূর্ব বড়ধলি আদর্শগ্রাম মৌজায় এ প্রকল্পের অবস্থান। এক হাজার একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পে  ৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সম্পন্ন কেন্দ্রটিতে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। ইতোমধ্যে ওই ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে।

দেশের সবচেয়ে বড় এ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রকল্পের অভ্যন্তরে এক লাখ ৭৮ হাজার প্যানেল বসানো ও কর্মকর্তাদের অফিস, আবাসিক ভবনের নির্মাণ কাজও শেষ হয়েছে। সমুদ্র উপকূলের জলোচ্ছ্বাস ও বাতাসের গতিবেগের ১০০ বছরের সমীক্ষা বিবেচনায় গোটা প্রকল্প এলাকায় লবণাক্ত পানি রোধে ৫ মিটার উচ্চতার ৮ কিলোমিটার বাঁধ দেওয়ার কাজ কিছুটা অসম্পন্ন রয়েছে। প্রকল্প এলাকার নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারিভাবে চট্টগ্রামের কাপ্তাই ও সরিষাবাড়ির পর সোনাগাজীর সমুদ্র উপকূলে ২০২১ সালে শুরু হয় দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ। ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠান) মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগের অধীনে পাওয়ার সেলের তত্ত্বাবধানে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৮৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, বিশ্ব ব্যাংকের ঋণ থেকে ৬২১ কোটি টাকা ও বাস্তবায়নকারী সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩৮ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছে চায়না প্রতিষ্ঠান ‘টিনা সোলার’।

এআরএস

Link copied!