Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ডিএমপি

বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২, ২০২৪, ০৯:০৯ পিএম


বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শনিবার (২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।

ডিসি ফারুক হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। সিআইডি এ তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে কেউ মরদেহের সন্ধানে এলে তাদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে গেলে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসেন সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে।

তিনি বলেন, এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা শুক্রবার চারজনকে আটক করেছি। তারা এখন রমনা থানায় রয়েছেন। এ অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করছে সব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি। এরপর যাদের দায় পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আজ মামলা করা হবে। যারা আটক আছেন তাদের সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, বেইলি রোডে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপাল্টন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। এ দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসব ঘটনায় মামলার রুজুর পর পুলিশের কাজ হচ্ছে তদন্ত করে দেখা এ ঘটনার পেছনে কাদের দায় আছে বা কারা দায়ভার বহন করবে। সেই বিষয়টা তদন্ত করে খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। তদন্ত শেষ হওয়ার পর যাদের দায় আছে তাদের দায়িত্ব নিরূপণ করে আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করে থাকে। আমরাই এর আগেও এমন ঘটনায় যেসব মামলা দায়ের হয়েছিল সেগুলো সুষ্ঠুভাবে তদন্ত সম্পন্ন করেছি এবং অভিযুক্তদের প্রত্যেককে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায়ও রমনা থানায় মামলা দায়ের হবে, মামলা দায়েরের পর তদন্ত চলবে। চারজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া মামলা তদন্ত চলাকালে আরও যেসব ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে।

আরএস

Link copied!