Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪,

শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি

মার্চ ১৭, ২০২৪, ০৩:০৪ পিএম


শ্রীপুরে মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার করন্দি গ্রামের বিনোদ কুমার বিশ্বাস নামে এক মুক্তিযোদ্ধার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ব্যাপারে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাননি মুক্তিযোদ্ধার পরিবারটি।

জানা গেছে, বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনোদ কুমার বিশ্বাসের সাথে কোদলা গ্রামের রবিউল ইসলামের সাথে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সে ভুয়া দলিল ও স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ওই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। এতে বাঁধা দেওয়ায় ওই মুক্তিযোদ্ধার উপর ৫ বার মারধর ও মানহানির ঘটনা ঘটিয়েছে রবিউল ইসলাম। শুধু বিনোদ কুমার বিশ্বাস না, একই এলাকার ইসলাম মোল্যা, সুবোদ রায়, রামচন্দ্রপুর গ্রামের অনিল বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের পাঁয়তারা করে আসছে রবিউল। মামলার মাধ্যমে তাদের হেনস্তা করলেও অধিকাংশ মামলায় সে পরাজিত হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলেই প্রাণনাশের হুমকি দেয় এমন অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার পরিবারগুলো।

বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনোদ কুমার বিশ্বাস বলেন, আমি একজন বিহার ট্রেনিংপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমি বহু কষ্ট করে সংগ্রাম করে যুদ্ধ করেছি। অথচ আজকে আমার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই। রবিউল আমার জমি দখল ও হয়রানি করছে। এমনকি হুমকি দিচ্ছে এ দাগ পাবো ও দাগ পাবো। ভুয়া স্ট্যাম্প করে, ভাতিজার ভুয়া এনআইডি করে জমি দখলের পাঁয়তারা করছে। সে আমার উপর নির্যাতন করছে। আমি থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় বহু অভিযোগ করেছি কোন বিচার পাইনি।

এ বিষয়ে আরেক ভুক্তভোগী ইসলাম মোল্যা বলেন, আমার কেনা জমি, আমার দলিল আছে আর সেই জমির উপর রবিউল মামলা করে। আমি বাপের কাছ থেকে কিনেছি। আর উনি না কি ছেলের কাছ থেকে কিনেছে। এই জমি নিয়ে প্রথমে নিম্ন আদালতে, জজ কোর্টে ও পরে হাইকোর্টে মামলা করে পরাজিত হয়েছে। তার কাজই মানুষের হুমকি দেওয়া, আর মামলা করে হয়রানি করা।

অভিযুক্ত রবিউল ইসলাম বলেন, আমি কারো জমি দখলের চেষ্টা করছি না। আমার বৈধ কাগজপত্র আছে। আর মুক্তিযোদ্ধার মারধর ও মানহানির বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানা সাব ইন্সপেক্টর রামপ্রসাদ বলেন, এ বিষয়ে বেশ কয়েকবার মীমাংসা চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কোর্টে মামলা থাকায় দুপক্ষই সময় নিয়েছে।

ইএইচ

Link copied!