Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৬ নভেম্বর, ২০২৪,

২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন করবে ইউনেস্কো

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মার্চ ২৩, ২০২৪, ১১:৩৯ এএম


২০২৫ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী উদ্‌যাপন করবে ইউনেস্কো
ছবি: সংগৃহিত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালন করবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সংস্থাটির প্যারিস্থ সদর দপ্তরে চলা নির্বাহী পর্ষদের ২১৯তম সভায় বাংলাদেশের প্রস্তাবে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তটি সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। বাংলাদেশের উত্থাপিত এ প্রস্তাব ৬৩টি সদস্য রাষ্ট্র সমর্থন করে।

এ সিদ্ধান্তে মাতৃভাষা সংরক্ষণ ও প্রচার কার্যক্রমকে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বাস্তবায়নের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রশংসা করেছে নির্বাহী পর্ষদ।

এছাড়াও, ভাষার সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করা ও প্রতিবন্ধকতা নিরসনের লক্ষ্যে ইশারা ভাষাগুলোকে সকল মাতৃভাষার মতো সমান গুরুত্ব ও সম্মানের সঙ্গে সংরক্ষণের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

এ সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৫ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কোর সদর দপ্তর, আঞ্চলিক ও স্থানীয় দপ্তরগুলোতে দিবসটির রজত জয়ন্তী পালনের অনুমোদন দিয়েছে নির্বাহী পর্ষদ।

এ সিদ্ধান্তে সংস্থাটির সব সদস্য রাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজত জয়ন্তী পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

প্রস্তাবিত সিদ্ধান্তটি নির্বাহী পর্ষদের অনুমোদন লাভের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ইউনেস্কোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা ইউনেস্কোর সকল সদস্য রাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি ইশারা ভাষাকে মাতৃভাষার সমান গুরুত্ব দেওয়ার মাধ্যমে ভাষাকে সার্বজনীনতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় রাষ্ট্রদূত এই সিদ্ধান্তকে প্রধানমত্রীর নেতৃত্বে ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মাতৃভাষা ও ইশারা ভাষার সংরক্ষণ, প্রচার ও প্রসারে অগ্রণী ভূমিকার আরেকটি স্বীকৃতি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এ সিদ্ধান্তের ফলে আগামী বছর মাতৃভাষা সংরক্ষণে দেশে ও বিদেশে বড় পরিসরে নানা কর্মসূচি গৃহীত হবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বৈশ্বিক উদ্‌যাপনকে বাংলাদেশের জনকূটনীতির একটি অনন্য সাফল্য হিসেবে তিনি চিহ্নিত করেন এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগের মহান ইতিহাসকে তুলে ধরার একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে তিনি মনে করেন।

২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস পালনের পূর্ব মুহূর্তে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ঘোষিত দিবসের রজত জয়ন্তী পালনের সিদ্ধান্তে উৎফুল্ল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসীসহ সর্বস্তরের সকল বাংলাদেশি নাগরিক।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কোর ৩০তম সাধারণ পরিষদের সভায় ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এআরএস

Link copied!