মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৩:১৬ পিএম
সংসদীয় কূটনীতি দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক স্তরে সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে জটিল সমস্যা সমাধানে সহায়ক হিসেবে প্রমাণিত। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সংসদীয় কূটনীতিকে কাজে লাগাতে হবে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘১৪৮তম আইপিইউ অ্যাসেম্বলি’ উপলক্ষে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত গভর্নিং কাউন্সিলের ২১৩তম সেশনে ‘পার্লামেন্টারি ডিপ্লোম্যাসি: বিল্ডিং ব্রিজেস ফর পিস অ্যান্ড আন্ডারস্ট্যান্ডিং’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
স্পিকার বলেন, সংসদীয় কূটনীতিকে এমন একটি বিশ্ব তৈরিতে সহায়ক হতে দিন যা দারিদ্র্য, ক্ষুধা, যুদ্ধ এবং মানবিক যন্ত্রণা থেকে মুক্ত হতে পারে। যাতে মানবতার কল্যাণে সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা যায়।
শিরীন শারমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। সংসদীয় কূটনীতি এক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্পিকার বলেন, সংসদ গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু এবং জনগণের আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আইপিইউ, সিপিএ, পিইউআইসিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামের সাথে জড়িত এবং সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের মাধ্যমে সংসদীয় কূটনীতি প্রচার করে।
শিরীন শারমিন বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে সংসদ সদস্যরা এমন একটি বিশ্ব তৈরি করার অনন্য ক্ষমতা পান, যেখানে প্রতিটি নাগরিকের আশা-আকাঙ্ক্ষা অর্জনের সমান সুযোগ থাকে এবং কেউ পিছিয়ে থাকে না। জনগণের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার জন্য সারা বিশ্বের সংসদ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেন। প্রত্যেকের জন্য মানবিক মর্যাদার জীবন নিশ্চিত করতে সংসদগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
এ সময় সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, মাহবুব উর রহমান, শাহাদারা মান্নান, নীলুফার আনজুম, এইচ এম বদিউজ্জামান, মো. মুজিবুল হক, আখতারুজ্জামান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
আরএস