Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ডিএমপি কমিশনার

রাজারবাগ এসে পাকিস্তানী বাহিনী থমকে গিয়েছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৪:১৩ এএম


রাজারবাগ এসে পাকিস্তানী বাহিনী থমকে গিয়েছিল

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ এসে পাকিস্তানী বাহিনী থমকে গিয়েছিল বলে উল্লেখ করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে ‘গণহত্যা দিবস পালন ও স্বাধীনতার প্রথম প্রহর উদযাপন’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগ এসে পাকিস্তানী বাহিনী থমকে গিয়েছিল। এর আগে আমরা জানি তৎকালীন ছাত্রনেতা বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান পাকিস্তানী সেনা বহরকে ফার্মগেটে ব্যারিকেড দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, রাজারবাগে অপারেশন সার্চ লাইটের যে নির্দেশনামা এবং বাস্তবতা, তার গোয়েন্দা তথ্য বিভিন্ন গ্রন্থে পাওয়া যায়। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ যে নির্দেশনা দিয়েছিলেন- ‘যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই আহ্বানের রাজারবাগের পুলিশ ও তৎকালীন বাঙালি পুলিশের ভেতরে একটা নীরব কার্যক্রম শুরু হয়। যার বিভিন্ন নমুনা আমরা পেয়ে থাকি।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান আরও বলেন, বিশেষ করে ১৬ মার্চ প্রেসিডেন্ট ভবনে ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনার জন্য বঙ্গবন্ধু তার গাড়িতে কালো পতাকা লাগিয়ে প্রবেশ করেছিলেন। তখন প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে পুলিশের যে প্রহরারত দল ছিল, তারা সম্পূর্ণ রাষ্ট্রীয় কায়দায় বঙ্গবন্ধুকে সালাম দিয়েছিলেন। সেটি যখন তৎকালীন সরকার অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে জানানো হয়, তখন সেদিনই তারা ধরে নিয়েছিল পুলিশ তৎকালীন সরকারের বিরোধিতা করবে।

হাবিবুর রহমান আরও বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঠিক সাড়ে ১১টার দিকে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্যাংক বেরিয়ে আসে, তখন সেখান থেকে ওয়ারলেসের মাধ্যমে রাজারবাগে আমাদের পুলিশ সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। শান্তিনগর মোড় ব্যারিকেড ভেদ করে যখন পাকিস্তানী বাহিনীর ট্যাংক রাজারবাগের দিকে এগোচ্ছিল, তখন বর্তমান ইস্টার্ন মার্কেটের ওপর থেকে রাজারবাগের পুলিশ সদস্যরা প্রথম স্বাধীনতা যুদ্ধের বুলেট ছুড়েছিলেন। সেই গুলিতে পাকিস্তানী বাহিনীর সদস্যরা আহত হয়েছিল।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০০৯ সালে তৎকালীন আইজিপি নূর মোহাম্মদ ও ডিএমপির তৎকালীন কমিশনার একেএম শহীদুল হকের (সাবেক আইজিপি) নির্দেশনায় আমি তখন পুলিশের তৎকালীন ডিসি জাদুঘর স্থাপনের পরিকল্পনা করি। বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পুলিশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং ২৫ মার্চের কালরাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষিত রয়েছে। তরুণ প্রজন্মকে আহ্বান জানাবো বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে আসার জন্য এবং দেখার জন্য, যাতে করে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাসটি আমরা তুলে ধরতে পারি।

আরএস

Link copied!