নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
এপ্রিল ২৩, ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাস-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থীর নিহতের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চুয়েট ক্যাম্পাসের সামনে গাছ ফেলে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় টায়ার পুড়িয়ে বিক্ষোভ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা সাত দফা দাবি তুলে ধরে। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও দেয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ হলো -
১- বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে মামলার মাধ্যমে তৌফিক ও শান্ত হত্যার বিচার।
২- ক্ষতিপূরণ ও শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে আহত চুয়েট ছাত্র হিমুর সব চিকিৎসার দায়িত্ব নিতে হবে।
৩- চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কে শাহ আমানত ও এবি ট্র্যাভেলসসহ সব লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করতে হবে। ৪- চুয়েটে বাস পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করতে হবে এবং আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ চুয়েট অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে হবে।
৫-চুয়েট মেডিকেল সেন্টারের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।
এ সব দাবি লিখিতভাবে আদায় না হওয়া পর্যন্ত সব প্রকার শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে এবং আন্দোলন চলবে বলে জানায় শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের পাশাপাশি দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে নিহত শিক্ষার্থীর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৩টায় শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নেবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বাস ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে শান্ত সাহা ও তৌফিক হোসেন নামে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই ছাত্র নিহত হন।
ঘটনার পর থেকেই চুয়েট ক্যাম্পাস এলাকার সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় শাহ আমানত লাইনের ৪টি বাস আটকে রাখে তারা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা চালায়। রাত ৯টার দিকে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
আরএস