নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১২, ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ১২, ২০২৪, ০৯:২৯ পিএম
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেছেন, শিশুদের নিয়ে আমাদের প্রায় ২১৩টি প্রতিষ্ঠান আছে। এক সময় যেগুলোকে শিশু অপরাধী সংশোধনাগার বলা হতো সেগুলোকে আমরা এখন শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বলছি। তাদের সাপোর্ট দিয়ে অপরাধীর জায়গা থেকে ইতিবাচক একটা জায়গায় নিয়ে আসতে পারি। সেজন্য এর নামেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, কারণ নামের প্রভাব তো থাকেই। সেটার সংখ্যা তিনটি, যা সত্যিই অপ্রতুল। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে ১২টি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র হবে।
মন্ত্রী আজ রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে কিশোর অপরাধের ধরন ও কারণ বিষয়ক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দীপু মনি বলেন, কিশোর গ্যাং বিভিন্ন জায়গায় বিস্তৃত হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে কিশোরদের ব্যবহার করা হয়। সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, তার মধ্যে অনেক সময় প্রেমঘটিত ব্যাপার থাকে। মাদক সেবন, রাজনৈতিক প্রভাবের বিষয়টিও থাকে।
দীপু মনি আরও বলেন, প্রথমে যেটি দেখতে হবে পরিবারে শিশুর দিকে সঠিকভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে কি না এবং সে কার সঙ্গে মিশছে। কোথায় কী করছে? পড়াশোনা ঠিকমতো করছে কি না। তাকে জানা বা বুঝার জায়গাগুলোতে একটি বড় ঘাটতি আছে। এ জায়গাটায় আমাদের অনেক বেশি কাজ করার আছে। আমাদের সবকিছু প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, কিন্তু আমরা কীভাবে ভালো বাবা-মা হবো সেটির কিন্তু প্রশিক্ষণ হয় না।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বাচ্চাকে মর্যাদা দিতে হবে, তার বয়স যাই হোক। তার ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে যদি সম্মান করি, তবে সেটি অবশ্যই যৌক্তিক হতে হবে। যেটা অযৌক্তিক সেটি তাকে বুঝিয়ে বলতে হবে। তাই সেখানে খুব বড় একটা গ্যাপ আছে। সেই গ্যাপটাই ভিত্তি তৈরি করে দেয় এসমস্ত নীতিবাচকতা, এসমস্ত অপরাধের। বাচ্চাকে কথায় কথায় বকা দিলে সে কিন্তু মিথ্যা বলতে শুরু করে যে এটি করিনি বা সেটি কিরিনি। এটাই কিন্তু পরবর্তীকালে ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে যায়। কাজেই প্রাথমিক পর্যায় থেকে শিশুকে শিখাতে হবে।
সেমিনারে নারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি লুৎফুন নেসা খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার(ডিবি) হারুন অর রশীদ।
ইএইচ