নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২৩, ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মে ২৩, ২০২৪, ০৫:২৮ পিএম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের লাশ গুমে নৃশংস পন্থা বেছে নেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান হারুন অর রশীদ।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল ৩টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।
ডিবিপ্রধান বলেন, দুই থেকে তিন মাস আগেই এমপি আনারকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। তারা পরিকল্পনা করেছিল ঢাকায় হত্যা করবে। তিনি জানান, মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামানের দুই বাসার মধ্যে একটি গুলশানে, অন্যটি বসুন্ধরায়। এ দুই বাসায়ই হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।
আনার হত্যার নেপথ্যে রাজনীতি বা অন্য যে কারণই থাকুক না কেন বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে চেয়েছিল, কিন্তু হত্যাকারীরা পারেনি। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা কলকাতায় গত ২৫ এপ্রিল একটি বাসা ভাড়া নেয়। তারা ৩০ এপ্রিল ওই বাসায় ওঠে। যিনি হত্যার পরিকল্পনা করেছেন তিনি ও আরেকজনসহ মোট তিনজন বিমানযোগে কলকাতার ভাড়া বাসায় উঠে।
তারা দুই মাস ধরে খেয়াল রাখছে কখন আনারকে কলকাতা আনা যাবে। ১২ মে আনার বন্ধু গোপালের বাসায় যান। সেখানে আরও দুজনকে হায়ার করা হয়। তারা ওই বাসায় আসা-যাওয়া করবে। তারা হলেন, জিহাদ বা জাহিদ ও সিয়াম। মাস্টারমাইন্ড গাড়ি ঠিক করে। কাকে কত টাকা দিতে হবে, কারা কারা হত্যায় থাকবে, কার দায়িত্ব কী হবে তা ঠিক করে।
হারুন অর রশীদ বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে ভারতের কলকাতায় হত্যার পর শরীর খণ্ড খণ্ড করা হয়। হাড় ও মাংস আলাদা করে হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যাগে ভরে ওই বাসা থেকে বের করা হয়। তবে কোথায় এ খণ্ড খণ্ড মরদেহ ফেলা হয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
আরএস