নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৪, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ৪, ২০২৪, ০৬:১৯ পিএম
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) সভাপতি মোহাম্মদ আবুল বাশার কথা দিয়েছেন, যে-সব কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি তাদের সবার টাকা ফেরত দেওয়া হবে। একই সঙ্গে যে-সব এজেন্সি কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েও তাদের মালয়েশিয়া নিতে পারেনি তাদের তালিকা করবে।
মঙ্গলবার (৪ জুন) সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় এ আশ্বাস দেন তিনি।
মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, আমরা কথা দিলাম, শ্রমিকরা এজেন্সিকে কে কত টাকা দিয়েছেন তারও একটা তালিকা করা হবে। আমরা এজেন্সিগুলোর কাছ থেকে টাকা আদায় করে কর্মীদের ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বায়রার পক্ষ থেকে পদক্ষেপ নেব। এবার ১০১ জন ব্যবসা করেছে, তাদের সুযোগ দিয়েছে কে? নিশ্চয় দুই দেশের মন্ত্রণালয়। এখানে আমাদের সরকার ও মালয়েশিয়ান সরকার একটি চুক্তি করেছে। কতজন লোক লাগবে, কীভাবে নির্ধারণ করবে সেই চুক্তি করেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে। এই চুক্তি বায়রার সঙ্গে করেনি। আর ওই চুক্তি মোতাবেক মালয়েশিয়া সরকার ১০১ এজেন্সিকে চিহ্নিত করেছে। বায়রার সদস্যদের এখানে কিছুই করার নেই বলে মত দেন তিনি।
১৯৯৪ সালেও এমন সিন্ডিকেট হয়েছিল, সেটা তিনি ভেঙে দেওয়ার দাবি করে বলেন, এরপর ২০০৮ ও ২০১৬ সালেও সিন্ডিকেট হয়েছে। আমাদের সদস্যদের ব্যবসা করার সুযোগ করে দিয়েছিলাম। একটা স্বার্থান্বেষী মহল চায় কোটিপতি থেকে আরও কোটিপতি হতে। এখন আমরা চেষ্টা করছি যে-সব মানুষ যেতে পারেনি তাদের টাকা ফেরত দিয়ে বায়রাকে দায় মুক্ত করতে।
গমন ইচ্ছুক কর্মীদের কাছ তিন থেকে চারগুণ বেশি টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে বলেন, এই যে ৫ লাখ, ৪ লাখ টাকা নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ উঠেছে এটা সঠিক নয়। এ রকম কথার কথা অনেকে বলে। আমাদের এমপিরা কোনো চক্রান্ত করেননি। তাদের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। এখানে সংসদ সদস্যদের কথা আসছে কেন? তাদের রিক্রুটিং লাইসেন্স আছে, ব্যবসা করবে। এখন সে সংসদ সদস্য হোক আর যাই হোক তাদের তো ব্যবসা করার অধিকার আছে। এখন এগুলো নিয়ে একটা প্রতিপক্ষ চক্রান্ত করছে বলে দাবি করেন তিনি।
আরএস