Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ১৮, ২০২৪, ১০:২৮ এএম


ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পশু কোরবানি করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। সোমবার (১৭ জুন) কসাই না পাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে যারা ফরজ এই ইবাদত পালন করতে পারেননি, তারাই আজ পশু কোরবানি দিচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ফজরের নামাজের পর থেকেই এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরেজমিন রাজধানীর ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, পুরান ঢাকা, ধূপখোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকা ঘুরে পশু কোরবানি করতে দেখা গেছে। তবে এই সংখ্যা অনেক কম।

ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে অধিকাংশ কোরবানিদাতাই প্রথম দিন কসাই সংকটের কারণ উল্লেখ করেছেন। আবার অনেকেই পারিবারিক ও প্রথাগত ঐতিহ্য ধরে রাখতেও দ্বিতীয় দিন কোরবানি করেন।

রাজধানীর ধূপখোলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সবুর বলেন, পর্যাপ্ত জায়গার সংকট ছিল। মহল্লার অলিগলি, বাসার নিচের গ্যারেজ, সড়ক সব জায়গাতেই গতকাল অনেক ভিড় ছিল। তাছাড়া কসাইও পাওয়া যায়নি। সেজন্য গতকাল কোরবানি দিতে পারিনি। আজকে স্বস্তির সঙ্গে পশু জবাই করেছি।

গেন্ডারিয়া এলাকার বাসিন্দা নাইমুর রহমান বলেন, পারিবারিকভাবেই আমাদের এই এলাকায় এবং পুরান ঢাকার অনেক মানুষ দ্বিতীয় দিনে কোরবানি দিয়ে থাকে। এটি প্রথাগতভাবে অনেক আগে থেকে চলে এসেছে। আমাদের বাপ-দাদারাও দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিতেন। সেজন্য আমরাও দ্বিতীয় দিন কোরবানি দেই।

অবশ্য ইসলামী শরিয়তেও কোরবানির মোট সময় তিনদিন। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত কোরবানি করা যায়। জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আর কোরবানি করার সুযোগ থাকে না।

তবে কেউ যদি কোরবানির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর অর্থাৎ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের পর কোরবানির পশু জবাই করে ফেলে, তাহলে ওই পশুর সব মাংস সদকা করে দিতে হবে। এ রকম ক্ষেত্রে গোশতের মূল্য জীবিত পশুর চেয়ে কমে গেলে যে পরিমাণ মূল্য কমবে, তাও সদকা করতে হবে।

উল্লেখ্য যে, ঈদের প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম, তারপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।

আরএস

Link copied!