নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৭, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২৭, ২০২৪, ০৪:০৮ পিএম
শৃঙ্খলাই সৈনিকের মূলভিত্তি উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না সে-ই প্রকৃত সৈনিক, প্রকৃত বীরযোদ্ধা।
শৃঙ্খলাই সৈনিকের মূলভিত্তি উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, আদেশ ও কর্তব্য পালনে যে কখনো পিছপা হয় না সে-ই প্রকৃত সৈনিক, প্রকৃত বীরযোদ্ধা।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বায়তুল ইজ্জতে অবস্থিত বিজিবির ঐতিহ্যবাহী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজের (বিজিটিসিঅ্যান্ডসি) বীর উত্তম মজিবুর রহমান প্যারেড গ্রাউন্ডে বাহিনীর ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সীমান্ত প্রহরার মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতা রক্ষা করা। বিজিবি হবে ‘সীমান্তের নিরাপত্তা ও আস্থার প্রতীক’। আর এজন্য সততা ও সত্যবাদিতা, আনুগত্য, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলা এই চারটি গুণের সংমিশ্রণ ঘটিয়ে দেশপ্রেমিক সৈনিক হিসেবে নবীনদের গড়ে উঠতে হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ৫ ডিসেম্বর বাহিনীর তৃতীয় ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের বিদায়লগ্নে নবীন সৈনিকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, যারা নতুন আজকে বিডিআর-এ যোগদান করেছো, যারা শপথ গ্রহণ করলা, তাদের কাছে আমার কথা রইলো- ঈমানের সঙ্গে কাজ করো, সৎপথে থেকো, দেশকে ভালোবাসো।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে সীমান্তের চোরাচালান রোধের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাচার প্রতিরোধে এবং নারী ও শিশু পাচার রোধেও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। মনে রাখবেন সীমান্তের কার্যক্রম দেশের অর্থনীতিতে সরাসরি ভূমিকা রাখে। এবিষয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে।
বিজিবি মহাপরিচালক প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের সর্ববিষয়ে সেরা চৌকস রিক্রুট হিসেবে প্রথম স্থান অধিকারী বক্ষ নম্বর-৩০৬ রিক্রুট (জিডি) মো. মিনহাজ হোসেন রাফি, শারীরিক উৎকর্ষ (পুরুষ) প্রথম স্থান অধিকারী বক্ষ নম্বর-৬৩২ সিপাহী আবু হুরায়রা ও সর্ববিষয়ে তৃতীয় ও শারীরিক উৎকর্ষ (নারী) বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারী বক্ষ নম্বর-৭১৬ সিপাহী ছাবাতুন উল্লাহ জীম এবং ফায়ারিং-এ শ্রেষ্ঠ রিক্রুট বক্ষ নম্বর-৬৪১ সিপাহী মো. শাহিন উদ্দিনের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
এরপর নবীন সৈনিকদের চৌকস দল কর্তৃক বিজিবি মহাপরিচালককে আবারও সশস্ত্র সালাম প্রদানের মাধ্যমে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। সবশেষে বিজিবির প্রশিক্ষিত সদস্যদের অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় ট্রিক ড্রিল এবং বিজিবির সুসজ্জিত বাদকদল কর্তৃক মনোজ্ঞ ব্যান্ড ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।
নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে বিজিবি, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের সেনাবাহিনী, স্থানীয় অসামরিক প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।