Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪,

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক ইউনিট বন্ধ, বাড়ল লোডশেডিং

আমার সংবাদ ডেস্ক:

আমার সংবাদ ডেস্ক:

জুন ২৮, ২০২৪, ০৫:৫৮ পিএম


পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক ইউনিট বন্ধ, বাড়ল লোডশেডিং

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের এক ইউনিট বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম থাকায় দেশের দক্ষিণাঞ্চলে লোডশেডিং বেড়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ অঞ্চলের মানুষ। সেইসঙ্গে উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় ক্ষতির মুখে রয়েছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান। সব থেকে বেশি ভোগান্তিতে রয়েছে কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার প্রতিষ্ঠানগুলো।

নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ থাকায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। 

সোমবার (২৪ জুন) বিকেল থেকে প্রথম ইউনিটটি বন্ধ করা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এ ইউনিট চালু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎকেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিট থেকে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ২৪ জুন বিকেলে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রথম ইউনিটটি করা হয় বন্ধ। ফলে বর্তমানে ৬৬০ মেগাওয়াটের একটি ইউনিট জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। এতে করে দেখা দিয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি।

পায়রা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্লান্ট ম্যানেজার শাহ আবদুল মাওলা বলেন, রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই বন্ধ ইউনিটটি চালু করা হবে। আশা করছি ২ জুলাই পুরোদমে বন্ধ ইউনিট চালু সম্ভব হবে।

কুয়াকাটা ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এখন বিদ্যুতের ভোগান্তি অসহনীয় মাত্রা অতিক্রম করেছে। প্রতিদিন লোডশেডিং হচ্ছে চার থেকে পাঁচবার। এই দীর্ঘ সময়তো জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব না। পর্যটকরা বিরক্ত হচ্ছেন। সমস্যা সমাধানে সরকারসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হওয়া প্রয়োজন।

এর আগে কয়লা সংকটে ২০২৩ সালের ৫ জুন দেশের বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এর ঠিক ২০ দিন পর আবারও উৎপাদন শুরু হয়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি সচল রাখতে প্রতিদিন ১২ হাজার টনের বেশি কয়লার প্রয়োজন হয়ে থাকে। যা পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়।

বিআরইউ

Link copied!