Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪,

পরিবেশমন্ত্রী

ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ৭, ২০২৪, ০৭:০৯ পিএম


ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এ যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের অভিযোজন কৌশলকে ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পগুলির জন্য অতিরিক্ত তহবিল প্রদান নিশ্চিত করবে।

আজ রোববার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত, মেরি মাসদুপুয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি নিয়ে তাঁর মন্ত্রণালয়ের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বৈঠকে ফ্রান্স-বাংলাদেশ অভিযোজন চুক্তি চূড়ান্তকরণে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মন্ত্রণালয়ের পক্ষে জাতীয় অগ্রাধিকারগুলির সাথে সামঞ্জস্য রেখে বরাদ্দ বিভাজনের অনুরোধ জানানো হয়। চুক্তির সময়সীমা সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে আগস্ট ২০২৮ পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। ফরাসি প্রতিনিধি দল বাস্তবায়ন পর্যায়ে বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করার ইচ্ছা প্রকাশ করে।

আলোচনায় একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যযুক্ত সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। মন্ত্রণালয় প্রাথমিক তহবিল পেতে ন্যাপের ‍‍`ইকোসিস্টেম, ওয়েটল্যান্ড এবং জীববৈচিত্র্য‍‍` খাতের অধীনে প্রকল্প ধারণা জমা দেবে। ২০২৪ সালের জন্য ৪ মিলিয়ন ইউরোর প্রথম কিস্তি নিশ্চিত করতে ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা মন্ত্রণালয়কে আনুষ্ঠানিক প্রকল্প জমা দেয়ার অনুরোধ করে।

বৈঠকে সুন্দরবন পুনরুদ্ধার এবং সুরক্ষার লক্ষ্যে প্রকল্পগুলির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে ম্যানগ্রোভ রোপণ এবং কমিউনিটি-ভিত্তিক বন অগ্নি ব্যবস্থাপনা।

এছাড়াও, ফরাসি সরকার ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর জলবায়ু নীতি ঋণ সহায়তা প্রদান করছে। মন্ত্রণালয় বিশেষ সূচকগুলি, বিশেষত বর্ধিত স্বচ্ছতা কাঠামোর সাথে সম্পর্কিত সূচকগুলি পূরণের জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. মোশাররফ হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, যুগ্মসচিব (উন্নয়ন) লুবনা ইয়াসমিন এবং ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক সিসিলিয়া কর্টেজ সহ মন্ত্রণালয় ও ফ্রেন্স এম্বাসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

আরএস
 

Link copied!