আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ৮, ২০২৪, ১২:৩০ এএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ৮, ২০২৪, ১২:৩০ এএম
বগুড়ায় রথযাত্রায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু ঘটনা একজনের ভুলের কারণে ঘটেছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার বিকালে বগুড়া শহরের সেউজগাড়ি আমতলা মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বিকাল পাঁচটার পরে বগুড়ার সেউজগাড়ি পালপাড়া এলাকা থেকে রথযাত্রা নিয়ে কয়েক হাজার পুণ্যার্থী বের হন। রথটি আমতলা সেউজগাড়ী মোড়ে স্টেশন রোডে ওঠার পর রথের মাস্তুলের সঙ্গে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের সংযোগ ঘটে যায়। এতে মুহূর্তেই রথের সঙ্গে থাকা অসংখ্য পুণ্যার্থী বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন।
এতে বগুড়া সদরের ছোট বেলঘড়িয়া এলাকার অলোক কুমার সরকার (৪০), বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া হিন্দুপাড়ার বাসিন্দা নন কিশোর চন্দ্র সরকারের স্ত্রী আতশি রানী (৪৫), আদমদীঘি উপজেলার কুন্দগ্রামের নরেশ মোহন্ত (৬০), বগুড়া সদরের রঞ্জিতা মহন্ত (৫৫) ও সারিয়াকান্দি উপজেলার সাহাপাড়ার বাসুদেব সাহার স্ত্রী জলি রানী সাহা (৪০) নিহত হন।
এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন আরও ৪২ জন।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বছরে দুই দফা রথযাত্রা ও উল্টোরথযাত্রা বের হয়। শহরের রাস্তার ওপরে থাকা বৈদ্যুতিক তারের অবস্থান অনুযায়ী ঠিক কত ফুট উচ্চতায় রথ ওঠানো যাবে, তা আয়োজকদের আগে থেকেই সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের সেই সতর্কতা সত্ত্বেও ২৫ ফুট উচ্চতায় রথের চূড়া ওঠানো হয়। রথের চূড়া ওঠানো-নামানোর দায়িত্ব ছিল একজনের হাতে। কিন্তু তার ভুলেই ঘটে গেল মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা।
রথযাত্রা উৎসব আয়োজক কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি (অধ্যক্ষ) খরাজিতা কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী বলেন, ‘বহুকাল থেকে বগুড়া শহরে রথযাত্রা ও উল্টোরথযাত্রা উৎসব হয়ে আসছে। অতীতে কখনো এ রকম মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেনি।
শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘এখানে ভর্তি হওয়া ৩৮ জনের মধ্যে আশঙ্কাজনক দুজনকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। অন্যরা এখনো ঝুঁকিমুক্ত নন।
ইএইচ