নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৭, ২০২৪, ০৯:১০ পিএম
বিদ্যমান নৌপথগুলো সচল রাখার পাশপপাশি অন্তত ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্য রয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)’র পরিকল্পনায়। এখন সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নৌপথ সংরক্ষিত রয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র লক্ষ্য হচ্ছে, দেশজুড়ে ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সচল রাখা, যাতে এই ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ সব মৌসুমেই সচল থাকে সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে নৌ-মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সরকারি এ সংস্থাটি। নৌপথের পাশাপাশি বন্দর সুবিধা বৃদ্ধির কাজও চলমান রয়েছে। বিদ্যমান বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন বন্দর স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে বিআইডব্লিউটিএ’র।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরিঘাট উন্নয়ন, নগরবাড়ী ও চিলমারী নদীবন্দর এবং মিরসরাই ও স›দ্বীপ বন্দর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। চলমান বন্দরগুলোতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেলক্ষ্য মাথায় রেখেই কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ঢাকার হৃৎপৃণ্ড জুড়ে থাকা ঐতিহ্যবাহী বুড়িগঙ্গা নদী এবং ঢাকা ও গাজীপুর জেলায় বিস্তৃত তুরাগ নদীকে জীবন্ত সত্তায় ফেরাতে নিরলসভাবে কাজ করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বা বিআইডব্লিউটিএ। সংস্থাটি যখন এসব ইতিবাচক কাজ নিয়ে ব্যস্ত, তখন একটি দুর্নীতিবাজ চক্রের ভেতর চলছে গাত্রদাহ। তারা কর্মব্যস্ত এ সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের নিয়ে নানা গুজব ছড়াচ্ছে, মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে কর্মস্পৃহা বাধাগ্রস্ত করছে। এই চক্রটির উদ্দেশ্যেই হচ্ছে, কর্মকর্তাদের মানসিক টেনশনে রেখে দুর্নীতি করার ফাঁকফোকর তৈরি করা।
জানা গেছে, বুড়িগঙ্গা ও তুরাগসহ বিভিন্ন নদীতীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং নদীর তীরভ‚মি ইজারাসহ বিভিন্ন খাত থেকে রাজস্ব আদায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করে সংস্থাটি। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ধারাবাহিক অভিযানে দখলদার একটি মহল দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষুব্ধ, এই মহলটির ওৎ পেতে থাকে সংস্থার সংশ্লিষ্ট সৎ কর্মকর্তাদের বিতর্কিত করতে। জানা গেছে, বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক এবং ভ‚মি ও আইন বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) ও ড্রেজিং বিভাগের প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দীর্ঘদিন ধরেই বিআইডব্লিউটিএ-তে সততা ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করছেন। ফলে এ সেক্টরে অনিয়ম-দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। অথচ এই কর্মকর্তাদের মধ্যে কাউকে কাউকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে অবৈধভাবে দখলদার চক্রটি।
স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্ন্যান্স এই চারটি স্তম্ভকে মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত এবং জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল কর্তৃক প্রণীত রূপকল্প ২০৪১ বা বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে এগিয়ে চলছে দেশ। এ ভিশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করতে সরকারি অন্য দফতরগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কর্মসম্পাদন করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। অথচ একটি মহলের এই ইতিবাচক তৎপরতা ভালো লাগে না। তারা চায় গোলা পানিতে মাছ শিকার করতে। আর একারণে নানা গুজব ছড়ায় তারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিআইডব্লিউটিএ’র একাধিক কর্মকর্তা জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র স্বাভাবিক কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে বিভিন্ন সেক্টরের কিছু কর্মকর্তাদের মধ্যে ভীতি ছড়ানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে সংস্থাটির চলমান প্রকল্পগুলো থেমে যায় এবং সরকার তার ভিশন বাস্তবায়ন করতে না পারে। তবে এসব গুজব ও মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে ছড়ানো প্রোপাগান্ডায় শঙ্কিত নন বিআইডব্লিউটিএ’র সৎ কর্মকর্তারা। তাদের ভাষ্য হচ্ছে, কোনো কু-চক্রিমহলের অপতৎপরতায় উন্নয়ন ও সেবামূলক কাজ থেমে যাবে না।
জানা গেছে, সরকারের সেবামূলক কাজের অংশ হিসেবে নদী খনন প্রকল্প অর্থাৎ ড্রেজিং বিভাগের প্রকৌশলীরা সততা আন্তরিকতা ও বিচক্ষণতার সঙ্গে কাজ করছেন। এদের ইতিবাচক তৎপরতার কারণে বিআইডব্লিউটিএ আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। করোনাকালেও এরা ঝুঁকি নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের নদ-নদীর গতিপথ ঠিক রাখতে ও নদীকে চলাচলের উপযুক্ত করতে কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে করছেন সংস্থাটির ড্রেজিং বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দুর্নীতির লক্ষ্যে কু-চক্রিমহলের অপতৎপরতা ও ষড়যন্ত্র বিদ্যমান থাকলেও বসে সেই নৌ-মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ এ প্রতিষ্ঠানটি। কর্তৃপক্ষ নদী তীর রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান এবং নৌ রুটে চলাচলকারী অবৈধ নৌযান আটক ও জরিমানা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। অব্যাহত থাকবে চলমান সব প্রকল্পের কাজও।
আরএস