নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৯, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২৯, ২০২৪, ০২:২৯ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের বিবৃতি জোর করে দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার দুপুরে ছয় সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানান তারা।
এর আগে রোববার রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হেফাজত থেকেই সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক।
সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা লিখিত বার্তা দেন।
৬ সমন্বয়ক স্বাক্ষরিত বার্তায় বলা হয়, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন ও তার প্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেকেই অপ্রত্যাশিতভাবে আহত-নিহত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ সকল অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই।’
তারা আরও বলেন, ‘আমাদের প্রধান দাবি ছিল কোটার যৌক্তিক সংস্কার, যা ইতোমধ্যে সরকার পূরণ করেছে। এখন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত শক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর আহ্বান জানাই। সার্বিক স্বার্থে এই মুহূর্ত থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।’
লিখিত বার্তায় স্বাক্ষর করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, মো. আবু বাকের, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলছেন, নিরাপত্তা দিতেই নাহিদ, সারজিস, আসিফ, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ কোটা আন্দোলনের পাঁচ সমন্বয়কারীকে ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সহিংসতার পেছনের কারিগরদের খুঁজতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এ সময় গুজবে কান না দিয়ে পরিবারকে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দেন তিনি।
ইএইচ