নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৫, ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগস্ট ১৫, ২০২৪, ১১:৩৫ এএম
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদনের শুনানির জন্য ১১ জুলাই দিন ঠিক করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ২৩ মে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন আবেদনের বিষয়টি শুনানিতে উপস্থাপন করেন রিটকারী সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এসময় আদালতে সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মুহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানির জন্য তালিকায় আসে।
ওইদিন মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে জানান, বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনীর রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চের কার্যতালিকার ছিল। এটি শুনানির জন্য সকালে আপিল বিভাগে মেনশন করেছিলাম। কিন্তু সাবেক প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বেঞ্চে না থাকায় সাবেক বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনীর পুনর্বিবেচনার আবেদনটি শুনানির জন্য ১১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন।
বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। একই বছরের ২২ সেপ্টেম্বর গেজেট হয়। এরপর ওই সংশোধনী চ্যালেঞ্জ করে ২০১৪ সালের ৫ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
সে রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ বেঞ্চ (বৃহত্তর বেঞ্চ) সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল আবেদন করে। একই বছরের ৩ জুলাই তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিতে আপিল খারিজ করে রায় দেন।
বহুল আলোচিত ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে, দেশের গণতন্ত্র, রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, সুশাসন, দুর্নীতি, বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। তবে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই রিভিও আবেদনটি এখন শুনানির অপেক্ষায়।
বিআরইউ