নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৯, ২০২৪, ০৩:২৪ পিএম
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সেই বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, এটা এখন আমার বলার স্টেজ না।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের সঙ্গে বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
বলেছেন, গত তিনটি নির্বাচন (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) নিয়েই বিতর্ক রয়েছে। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল অংশ নেয়নি। ২০২৪ সালেও মিত্রদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে নির্বাচনের নামে প্রহসন করে আওয়ামী লীগ। এ নির্বাচনের ছয় মাসের মাথায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের পতনের পর দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রশ্নে নানা মহলে আলোচনা চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে ২১ অক্টোবর প্রথমবারের মতো অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে ব্রিফিং করে আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে না দেওয়ার বিষয়ে বক্তব্য এসেছে।
আজ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, এটা এখন আমার বলার স্টেজ না। আপনি যদি মনে করেন যারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, আরও ৪০-৫০ হাজার মানুষের অঙ্গহানি ঘটিয়েছে, চোখ কেড়ে নিয়েছে এবং এখনো তারা ওইটার পক্ষে কথা বলে, এখনো তাদের নেত্রী ২৮৭ জনকে দেখে নেবে এমন হুমকি দিচ্ছেন, যিনি গণহত্যা মামলার আসামি, আমার মনে হয় না এই দেশের মানুষ তাদের বিচারের আগে অ্যাকসেপ্ট করবে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, এগুলো একটা প্রসেসের ভেতর দিয়ে আসবে। গণহত্যা চালানোর পর যেই দল এখনো সেটা নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, আমাদের এতবড় আন্দোলনের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলার চেষ্টা করে, সুযোগ পেলে মানুষকে দেখে নেয়ার, হত্যা করার হুমকি দেয় তাদের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিত কি না সেই প্রশ্ন এ দেশের মানুষের কাছে রেখে গেলাম।
ইএইচ