নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১, ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একে একে চলে গেল পুরো পরিবার। বাবা, দুই ছেলে, এক মেয়ের পর মারা গেলেন মা সেলি বেগম (৩৫)।
আজ শুক্রবার বেলা ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে মৃত্যু হয় তাঁর। এ নিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্যের মৃত্যু হলো।
জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয় বোন তাসলিমার (৯), পরদিন ভোর পৌনে ৬টায় মৃত্যু হয় ভাই ইসমাইলের (১১), সকাল ৯টার দিকে মারা যান আরেক ভাই সোহেল মিয়া (২০) এবং গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পৌনে ৬টার দিকে মারা যান বাবা বাবুল মিয়া (৪০)।
এ ঘটনায় একমাত্র দগ্ধ অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন সোহেলের স্ত্রী মুন্নি খাতুন (১৮)। তবে তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
ডা. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘রূপগঞ্জ থেকে আসা একই পরিবারের ছয়জনের মধ্যে সেলি বেগম নামে আরও এক নারী মারা গেছেন। তাঁর শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। বর্তমানে সোহেলের স্ত্রী মুন্নি ২০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভর্তি আছেন। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’
এর আগে গত ২৫ অক্টোবর রাত পৌনে ১১টার দিকে রূপগঞ্জ ডহরগাঁও গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। এতে একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।
দগ্ধ বাবুলের চাচাতো ভাই এনামুল হক বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থানার সুজাপুর গ্রামে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ রূপগঞ্জ থানার ডহরগাঁও এলাকার ওই বাসার নিচতলায় ভাড়া থাকতেন। বাবুল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রী সেলি এনজেড নামে পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সোহেল ফকির ফ্যাশন নামে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। আর সোহেলের স্ত্রী মুন্নি গৃহিণী এবং ইসমাইল ও তাসলিমা বাসাতেই থাকত।
তিনি আরও বলেন, তাঁরা ওই বাসায় পাশাপাশি রুমে ছিলেন। চাচা বাবুলের ঘরে গ্যাস টেনে আনার জন্য একটি কম্প্রেসর মেশিন আছে। রাতে তাঁরা খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ কম্প্রেসর মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তাঁরা ছয়জন দগ্ধ হন। পরে প্রতিবেশীরা তাঁদের বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। তবে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারেনি।
আরএস