Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪,

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

মুজিববর্ষের নামে অপচয় নিয়ে ডকুমেন্টেশন করা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ৭, ২০২৪, ১০:৪২ পিএম


মুজিববর্ষের নামে অপচয় নিয়ে ডকুমেন্টেশন করা হবে

শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর নামে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার মুজিববর্ষ নামে একটি কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ কর্মসূচির নামে রাষ্ট্রের টাকা ব্যাপক অপচয় করা হয়। কোন মন্ত্রণালয় এই কর্মসূচির নামে কত টাকা খরচ করেছে তার একটি ডুকমেন্টেশন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানী ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এর আগে সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

শফিকুল আলম বলেন, আপনারা জানেন মুজিববর্ষকে ঘিরে কীভাবে একটা একটা উন্মাদনা হয়েছে। মুজিববর্ষে কি ধরনের কাজ হয়েছে, কত টাকা অপচয় হয়েছে, সেটা নিয়ে ডকুমেন্ট করার কথা উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। মুজিববর্ষের নামে কোন মন্ত্রণালয় কত টাকা খরচ করেছে তা নিয়ে ডকুমেন্টেশন হবে। মুজিববর্ষের নামে কোন কোন মন্ত্রণালয় কী কী খাতে কত টাকা অপচয় করেছে তার একটা তালিকা করা হবে।

প্রেস সচিব বলেন, আমরা যেখানে ঋণের জন্য আইএমএফ-এর কাছে হাত পাতছি। আইএমএফ-এর কাছে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ চাচ্ছি। সেখানে মুজিববর্ষের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট করছি- কিছু ম্যুরাল বানিয়ে কিছু স্ট্যাচু বানিয়ে। শুধু মাত্র সরকারি কোষাগার থেকে টাকা গেছে বিষয়টা তা না।

তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও জোর করা হয়েছে, ফলে কেউ মুজিব কর্নার করেছেন, কেউ মুজিবের ম্যুরাল বানাতে বাধ্য হয়েছেন। মুজিববাদকে সামনে রেখে টাকা খরচের যে একটা উন্মাদনা ছিল। কত টাকা অপচয় হয়েছে তা জানার জন্য ডকুমেন্টেশন করা হবে। এ সিদ্ধান্ত হয়েছে আজকের উপদেষ্টার পরিষদে।

টাকা অপচয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা একটা পত্রিকায় রিপোর্ট দেখেছি সেটা যাচাই করতে পারিনি। পত্রিকাটি বলছে, শুধু ম্যুরাল বানানোর নামে ৪ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১০ হাজার মূর্তি বানানো হয়েছে।

মুজিববর্ষে যেসব আমলা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আগে ডকুমেন্টেশন হোক তার পরে দেখা যাবে কি করা যায়। ডকুমেন্টেশনের পরে দেখতে পাবো কি পরিমাণে অপচয় হয়েছে। এসব টাকা কিন্তু করদাতাদের টাকা। এই টাকা কীভাবে ব্যয় হলো অবশ্যই আমরা দেখবো। আপনারা নিশ্চয় দেখেছেন পদ্মাসেতুতে দুটি ম্যুরালের জন্য ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, চিন্তা করা যায়?

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।

ইএইচ

Link copied!