নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১১, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১১, ২০২৪, ১২:০৭ পিএম
কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অভ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বন্দোবস্তকৃত ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
জানা গেছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের অনুরোধে এ বরাদ্দ বাতিল করা হয়।
সোমবার বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমানের স্বাক্ষর করা ১০ নভেম্বর পাঠানো পত্রের মাধ্যমে উল্লিখিত বিষয়ে যথাযথ কার্যক্রম নিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি অভ পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন স্থাপনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে বন্দোবস্তকৃত কক্সবাজার জেলার সদর উপজেলার ঝিলংজা মৌজার বিএস ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত বিএস ২৫০০১ নম্বর দাগের ‘পাহাড়’ শ্রেণির ৪০০ একর ও বিএস ২৫০১০ নম্বর দাগের ‘ছড়া’ শ্রেণির ৩০০ একর মোট ৭০০ একর জমি রক্ষিত বনের গেজেটভুক্ত হওয়ায় ওই বন্দোবস্ত এত দ্বারা নির্দেশক্রমে বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে আধা-সরকারি পত্র পাঠান পরিবেশ উপদেষ্টা। উপদেষ্টার পাঠানো আধাসরকারি পত্রে বলা হয়, বন্দোবস্তকৃত এলাকা ১৯৩৫ সাল থেকে বন আইন ১৯২৭-এর ২৯ ধারার আওতায় রক্ষিত বন হিসেবে ঘোষিত। এই ২১৪৫.০২ একর ভূমির অংশে গর্জন, চাপালিশ, তেলসুরসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা এবং হাতি, বানর, বন্য শুকরসহ বিভিন্ন প্রাণীর আবাসস্থল রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ সালে এই বনভূমিতে বনায়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
রেকর্ডে ‘রক্ষিত বন’ উল্লেখ না থাকায় বন বিভাগ এ বিষয়ে মামলা করে। পাশাপাশি ভূমির বন্দোবস্ত বাতিল চেয়ে একটি রিট মামলাও হাইকোর্টে দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বিভাগ এ বন্দোবন্তের বিষয়ে স্থগিতাদেশ দেন, যা আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে।
১৯৯৯ সালে ঝিলংজা ইউনিয়নকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে বনভূমির গাছ কাটাসহ প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন নিষিদ্ধ করা হয়। ৭০০ একর রক্ষিত বনও এই সংকটাপন্ন এলাকার অন্তর্ভুক্ত।
ইএইচ