নীলফামারী প্রতিনিধি:
নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
নীলফামারী প্রতিনিধি:
নভেম্বর ১৯, ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
নীলফামারীতে স্বাক্ষর জাল করে দোকান বরাদ্দের অভিযোগে দুই জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মোছা. হোসনে আরা মঞ্জু নামে এক মহিলা।
মোছা. ছায়রা বানু (৪৩) ও তার স্বামী মো. শাহিনুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত নীলফামারী-১ (সদর) এ। যার পিটিশন মামলা নম্বর ৪৮০/২৪ (সদর) নীলফামারী।
বর্তমানে মামলাটি তদন্তের জন্য আদালত ডিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়,বাদিনী মোছা. হোসনে আরা মঞ্জু নীলফামারী টাউন যাহার উপর সেমিপাকা একটি টিনসেড দোকান ঘর মোট ৩শ বর্গফুট। যাহার মাসিক ভাড়া এক হাজার আটশো পনেরো টাকা নির্ধারণ করা হয়। জামানত স্বরূপ ৫০হাজার টাকা প্রদান করে সভাপতি, নীলফামারী কো-অপারেটিভ সেন্ট্রাল ব্যাংক লিমিটেড এর পক্ষে মো. আরিফ হোসেন মুন এর নিকট থেকে গ্রহণ করেন। বাদিনী প্রথমে সেখানে গ্রিল তৈরির দোকান করেন। তারপর সেখানে রহমতিয়া ভাবীর ভাতের হোটেল তৈরি করে বাদিনী আসামি দ্বয়কে দিয়ে পরিচালনা করাতেন। হোটেলের ব্যয় বাদে যা লাভ হত তাহা উভয়ে সমান ভাগে ভাগ করে নিতেন। এভাবে চলতে চলতে একসময় আসামি দ্বয় হোটেলের আয় ব্যয়ের হিসাব দেয়া বন্ধ করে দেয়। ব্যবসায় লাভের টাকাও তারা আর দেন না।
এ অবস্থায় বাদীনি প্রশ্ন তুললে আসামি দ্বয় একটি দলিলের ফটোকপি দিয়ে তারাই এখন হোটেলের মালিক দাবি করে বসে।
ওই ফটোকপিতে দেখা যায়, ৩০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া এবং ২৪ লাখ টাকা জামানত দিয়ে বাদীনির সাথে তাদের ৫ বছরের ভাড়ার চুক্তিপত্র করা হয়। যা বলবৎ থাকবে ২০২৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আবার আর একটি চুক্তিপত্রে দোকান বিক্রি করা হয়েছে ২৪ লাখ টাকার বিনিময়ে। অথচ দোকান ভাড়া বা বিক্রি কোনোটাই চুক্তিপত্র করেননি বাদিনী। আসামিদ্বয় বাদীনির স্বাক্ষর জাল করে ওই সকল ভাড়া এবং বিক্রির চুক্তিপত্র তৈরি করে দোকান আত্মসাৎ করার পরিকল্পনা করেন। ওই চুক্তিপত্রের স্বাক্ষর বাদীনির নয় বলে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এর সিনিয়র অফিসার ও কো-অপারেটিভ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড নীলফামারী শাখার সে সময়ে দায়িত্বে থাকা মো. মোজাহারুল ইসলাম সরকার বলেন, দোকান বরাদ্দ ছিল হোসনে আরা মঞ্জুর নামে। কিন্তু তার স্বামী মো. ইছা মামুদ নাম পরিবর্তনের একটি আবেদন জমা দেন। তাই আমরা নিয়ম অনুযায়ী দোকানের মালিকানার নাম পরিবর্তন করেছি।
পরে জানতে পারি দোকান বরাদ্দকারী আবেদন করেননি। প্রশ্ন হল যদি বরাদ্দকারী আবেদন না করেন তাহলে কেমন করে বরাদ্দ বাতিল করে আরেকজনের নামে দেয়া হল। এর কোনো উত্তর দিতে পারেননি ব্যাংক কর্মকর্তা।
এ ব্যাপারে ছায়রা বানু বলেন, আমি কোনো প্রকার জাল জালিয়াতি করি নাই। নিয়ম অনুযায়ী সমবায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই দোকান আমাকে বরাদ্দ দেন। দোকান বরাদ্দের পর থেকে আমি মাসিক ভাড়া, আয়কর, ভ্যাট নিয়মিত প্রদান করে আসছি। এখানে আমার দোষ কোথায়।
বিআরইউ