ডিসেম্বর ২০, ২০২৪, ০৫:৫৫ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উঠেছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দপ্তরের ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মন্তব্য জানতে চায়। তবে এ ঘটনা নিয়ে সবশেষ হালনাগাদ তথ্য সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখ্য উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
এদিন একজন সাংবাদিক বলেন, (২০০৯ সালে) ঢাকার পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে নিহত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫৭ (৫৮ জন হবে) জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও রয়েছে। পরিবারগুলোর পক্ষে অ্যাডভোকেট উদয় তাসমীর এই অভিযোগটি আজ (গতকাল) সকালে দায়ের করেছেন। বিডিআর হত্যাকাণ্ডের (পিলখানায় হত্যাকাণ্ড) ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা এই মামলাটি নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কি?
জবাবে প্যাটেল বলেন, আমি এই সর্বশেষ খবরটি দেখিনি। তবে আমি আমার টিমের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করব।
বৃহস্পতিবার পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা দেয়া হয়। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পিলখানা গণহত্যায় শহিদ সেনা অফিসারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা এই অভিযোগ জমা দেন।
অভিযোগ দাখিলের পর চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীসহ এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পর্দার আড়ালের কুশীলবদের বিচারও দাবি করেন তারা। নিহত সেনা পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তৎকালীন সেনাপ্রধানসহ অনেকেই এ ঘটনার জন্য দায়ী।
বিআরইউ