আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৬:৫০ পিএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন মেট্রোরেলের দুটি পিলার থেকে শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যঙ্গচিত্র গভীর রাতে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, পরে শিক্ষার্থীরা সেটি আটকে দেন। এ ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এটিকে ঘৃণাস্তম্ভ স্বীকৃতি দেওয়া হবে।’
রোববার রাত ২টার দিকে সিটি করপোরেশনের একদল কর্মী ক্রেন এনে এটিকে সাদা রঙ দিয়ে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে জানা যায়, প্রক্টরের অনুমতি নিয়ে এটি করা হচ্ছিল। পরে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল বের করেন। এর পর প্রক্টর এসে শিক্ষার্থীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন। রাতের মধ্যে সেখানে আবার আরেকটি ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়।
এ ঘটনাকে নিষ্পাপ সিদ্ধান্ত উল্লেখ করেন প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমেদ বলেন, গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রোগ্রামের ছবি তোলে। এই ছবিগুলোর সঙ্গে শেখ হাসিনার এবং শেখ মুজিবের ছবি যায়। তাই ওরা বলেছে, এখনও টিএসসিতে কীভাবে তাদের ছবি থাকে। তখন আমি ভারপ্রাপ্ত স্টেট ম্যানেজার ফাতেমা বিনতে মুস্তাফাকে বললাম মেট্রো কর্তৃপক্ষকে বলার জন্য। পরে মেট্রোরেলের পক্ষ থেকে লোক পাঠিয়ে মুছে ফেলা হয়।
তিনি বলেন, এটি একেবারেই একটা নিষ্পাপ সিদ্ধান্ত। এখানে কারও কোনো ষড়যন্ত্র নেই। কালকে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ওখানে চারুকলার দুজন শিক্ষার্থী এটাকে পুনরায় আঁকতে চাইল। আমি বললাম তোমরা যেভাবে আঁকতে চাও, আঁকো। এই স্তম্ভকে স্থায়ীভাবে ‘ঘৃণা স্তম্ভ’ ঘোষণা করব।
মেট্রোরেলের রাজু ভাস্কর্য সংলগ্ন দুই পিলারের শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি এঁকেছিল ছাত্রলীগ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার পর জনতা এই গ্রাফিতিতে জুতা নিক্ষেপ, রক্তের প্রতীক স্বরূপ লাল রং, ইট-পাটকেল ও ঝাড়ু মেরে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ফলে একসময়ের গ্রাফিতি জনতার ক্ষোভ ও ঘৃণার প্রতীকে রূপ নেয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের অফিস থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমরা আরও সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করছি। প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এই স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, তারা হুবহু আগের মতো করে শেখ হাসিনার ব্যঙ্গচিত্রটি আঁকবেন। তারা আহ্বান জানান, জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে জুতা-রঙ নিক্ষেপ করে আগের চিত্রটি যেন ফিরিয়ে আনেন।
আরএস