Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ জানুয়ারি, ২০২৫,

আসিফ-হাসনাত-সারজিসদের ফেসবুক বন্ধ, যা জানা গেল

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জানুয়ারি ২, ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম


আসিফ-হাসনাত-সারজিসদের ফেসবুক বন্ধ, যা জানা গেল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ কয়েক নেতার ফেসবুক আইডি পাওয়া যাচ্ছে না। বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে এ তথ্য জানানো হয়। এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ফেসবুক আইডিও বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর সার্চ করে পাওয়া যায়নি।

আইডি খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত রাফী, অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট সাইদ আব্দুল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েমসহ অনেকে।

বুধবার তাদের অ্যাকাউন্টগুলো সার্চ করে খুঁজে যায়নি। অনেকেই বলছেন, এই আইডিগুলো ডিজেবল হয়ে গেছে। তবে জানা যায়, হ্যাকার গ্রুপ কর্তৃক আইডি ডিজেবলের শঙ্কা থেকে সতর্কতা স্বরূপ তারা আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করে রেখেছেন।

জানা গেছে, Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce নামে একটি পেজ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত থাকা অনেকের আইডি ও পেজ ডিজেবল করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

পেজে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধী প্রচারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে Saiyed Abdullah পেজটি ফেসবুক থেকে রিমুভ করা হয়েছে।

অন্য আরেক পোস্টে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আবার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে যে নৈরাজ্য হয়েছে তা কথিত সমন্বয়ক রাফির মাধ্যমে হয়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং পুলিশ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে খান তালাত মাহমুদ রাফির আইডি পার্মানেন্ট ডিজেবল করে দেয়া হয়েছে।

পেজে আরেক পোস্টে বলা হয়, ছাত্রলীগের ভেতর থেকে জুলাই ষড়যন্ত্রের অন্যতম নৈরাজ্যকারী, জঙ্গি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাসনাত আবদুল্লাহর আইডি উড়িয়ে দেয়ার পর ভয় পেয়ে সে ডিজেবল করে রেখেছে। বাংলার অনলাইন রাখিব রাজাকার মুক্ত স্লোগানেই আমাদের এই যাত্রা। Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce & রাজ্যসভা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তিদের যম।

এদিকে মুয়াজ আবদুল্লাহ নামের এক আইডি থেকে দাবি করা হয়, নিঝুম মজুমদারের দেয়া ২০ হাজার ইউএস ডলারের বিনিময়ে কোনো এক টিম সাইবার অ্যাটাক শুরু করছে। ফলশ্রুতিতে সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ ভাই, আসিফ মাহমুদ তাই, কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ও তালাত রাফির আইডি ডিজেবলড। আরও সবার আইডি বন্ধ করে দেয়া হবে।

তবে বিষয়টি সত্য নয় বলে জানিয়েছে Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce. এক পোস্টে বলা হয়, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং সেই চেতনা লালন করি। ব্যক্তি উদ্যোগে আমরা এসব রাজাকারদের ঘুম হারাম করছি। আমাদের ATeam বা Nijhum mujomdar এর Crack Platoon-Bangladesh Cyberforce ও রাজ্যসভার কোনো সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে ঢাবি ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেন, আমি ও সভাপতি সাদিক কায়েম ভাইসহ অন্যান্যরা আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করে রেখেছি। আওয়ামী লীগের সাইবার টিম কয়েকটি আইডি ডিজেবল করে দিয়েছে। তাই নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হাসনাত, সারজিস, আসিফ মাহমুদও আইডি ডি-অ্যাক্টিভেট করে রেখেছে। হ্যাকিং গ্রুপকে শনাক্ত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আইডি অ্যাক্টিভেট করা হবে।

এ বিষয়ে রাত ১০টার দিকে সাইয়্যেদ আবদুল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল বিকেলে হঠাৎ একটি মেসেজ পেলাম যে আমার আইডিটি ডিজেবল করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পরে আইডিতে গিয়ে সিকিউরিটি নিশ্চিত করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। কিন্তু পরবর্তীতে দেখলাম আইডিটা সাসপেন্ড করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম তার একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, বিশেষ নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে আমার আইডিটি ডি-অ্যাক্টিভেট করা হচ্ছে।

আরএস

Link copied!